শীতের প্রকোপে ফেনীতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে। জেলা মোট শনাক্তকৃত ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে সর্বাধিক শনাক্ত করা হয়েছে দাগনভূঞায়। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ হতে প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জেলা মোট শনাক্তকৃত ৭৭৯ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ৩৬৬ জন শনাক্ত করা হয়েছে দাগনভূঞা উপজেলা থেকে। গত ৯ নভেম্বর থেকে গতকাল মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) একমাসে ১৮৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) একদিনেই নতুন করে ৩ জন রোগীর ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ফেনী সদর উপজেলায় ১ জন, দাগনভূঞা উপজেলায় ২ জন ও ছাগলনাইয়া উপজেলায় ৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে।
বর্তমানে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সদর উপজেলার ৪ জন, দাগনভূঞার ২ জন, ছাগলনাইয়ার ১ জন ও সোনাগাজীতে ১ জন। চলতি ডিসেম্বর মাসে ডেঙ্গু শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২২ জন। জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গু শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ২০১ জন। মাসভিত্তিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা জুলাই মাসে ২৫ জন, আগস্ট মাসে ৪৯ জন ও সেপ্টেম্বর মাসে ১২১ জন।অক্টোবরে মাসেই শনাক্ত হয়েছেন ২৯৭ জন। এছাড়া নভেম্বরে শনাক্ত করা হয়েছে ২৫৫ জন।
উপজেলা ভিত্তিক মোট শনাক্তকৃত রোগীদের মধ্যে দাগনভূঞায় ৩৬৬ জন, ফেনী সদরে ৩০৪ জন, সোনাগাজী ৩৩ জন, ছাগলনাইয়া ৪৯ জন, পরশুরাম ২২ জন ও ফুলগাজী ৫ জন।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, আক্রান্তদের অধিকাংশই চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ডেঙ্গু শনাক্তকরণ ও পরীক্ষার জন্য বর্তমানে জেলায় ২৩১৬টি কিট মজুত রয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ রুবাইয়াত বিন করিম বলেন, গতকাল একদিনেই জেলায় ৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। বর্তমানে ফেনীতে মোট ৭৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী। ডেঙ্গু বিস্তার রোধে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে এবং আশপাশের পরিবেশ পরিষ্কার রাখতে হবে।
এ ব্যাপারে দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শহীদুল ইসলাম জানান, ডেঙ্গুর প্রকোপ রোধ করতে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় নালা-ডোবা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। ডেঙ্গু সম্পর্কে সচতেনতা বৃদ্ধির জন্য সভা ও লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, শুধু ঔষুধ ছিটিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়, নিজের বাসাবাড়ি চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এক্ষেত্রে নিজে সচেতন হতে হবে এবং অন্যকে সচেতন করতে হবে।
