দেশে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়া যাওয়ার খবরে বেড়েছে জনমনে আতংক। সেই সাথে চায়ের দোকান, আড্ডা থেকে শুরু করে সর্বমহলে করোনা নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা। আবার কেউ কেউ ছুটছেন মাস্কের পেছনে। আবার কাউকে দেখা গেছে মসজিদের দেয়ালে ‘করোনা ভাইরাস’ হতে মুক্ত থাকার দোয়া সাঁটাতে।


আজ (৮ই মার্চ) বিকাল হতে সন্ধ্যায় ফেনী শহরের এমন চিত্র চোখে পড়েছে। অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকও যেন করোনা’য় আক্রান্ত হয়েছে। বিভিন্ন জন বিভিন্ন ধরনে মতামত দিচ্ছেন, পোস্ট করছেন, মন্তব্য করছেন। এদিকে ফেনীর রাজাঝির দিঘীর পাড়ের দোকানগুলো মাস্ক কিনতে লাইন ধরেছেন অনেকে। জায়গায় মাস্কের দোকান খুলে বসেছে হকারা।


রবিবার বিকালে ওইস্থানটি ঘুরে দেখা গেছে, প্রকারভেদে মাস্কের দাম সাধারণত ২০-৩০ টাকার মধ্যে থাকলেও আজ দোকানীরা প্রতিটি মাস্কের দাম হাঁকছেন ১০০ টাকা। সাইফুল ইসলাম নামে এক খুচরা দোকানীকে দামের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, প্রতিদিন ২০-৩০ টি মাস্ক বিক্রি হত। আজ একলাফে তা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। তাই মাস্কের দামও বেড়ে গেছে।


মাস্ক কিনতে আসা মিজানুর রহমান নামে এক কলেজ ছাত্রের সাথে কথা বলে জানা যায়, দেশে করোনা সনাক্ত হবার পর থেকে আমাদের মনে আতংক বেড়ে গেছে। তাই মাস্ক কিনতে এসেছি। কিন্তু দাম তিনগুণ বাড়িয়ে বলছে। বাড়িতেও সবার জন্য মাস্ক কিনে নিয়ে যেতে বলছে।


আরাফাত হোসেন নামে অপর এক ক্রেতা বলেন, ৮০ টাকা দিয়ে একটি চায়না মাস্ক কিনেছি। কিন্তু আতংক কাটছেনা তবুও। আল্লাহই একমাত্র আমাদের হেফাজত করতে পারেন।


কয়েকজন ফার্মেসী ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানা যায়, চীন হতে মানসম্মত মাস্ক আমদানি বন্ধ রয়েছে। তাই বাজারে কিছুটা সংকট চলছে। আজ করোনা রোগী সনাক্তের খবর পেয়ে আমরা নিজেরাও আতংকিত হয়ে পড়েছি।
শহরের এক মসজিদের গায়ে এক মুসল্লিকে দেখা গেল মসজিদের গায়ে একটা কাগজ লাগাচ্ছেন। তাতে করোনা ভাইরাস হতে মুক্তির দোয়া লিখা।


জিজ্ঞেস করা হল, হাদিসে করোনা ভাইরাসের কথা উল্লেখ আছে?
তিনি বললেন- না, মানে যে কোন রোগ-শোক থেকে পরিত্রান পাওয়ার দোয়া।
তাহলে দোয়ার উপরে সরাসরি ‘করোনাভাইরাস’-এর কথা লিখলেন কেন?
ভদ্রলোক আর কোন কথা বললেন না। শুধু বললেন, ‘হুজুরে এভাবে লিখতে বলেছে।’