ফেনীতে সকল সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র শতভাগ সেবা প্রদান করছে জানিয়ছেন জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাজ্জাদ হোসেন। আজ রবিবার (৫ এপ্রিল) বিকালে চলমান করোনাভাইরাস আতংকে ফেনীতে রোগীদের নিয়মিত সেবাদান প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।


সিভিল সার্জন বলেন, ফেনী জেনারেল হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে প্রতিদিন কতজন রোগী স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসছেন তা আমরা নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করবো। মানুষ দেখে সাহস পাবে, চিকিৎসার অভাব রয়েছে মনেকরে কেউ যেন ভীত না হয়।


বেসরকারি হাসপাতাল ও চেম্বারে ডাক্তাররা নিয়মিত বসছেন না এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, যারা চেম্বারে বসবেন না তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বেসরকারি হাসপাতাল মালিক এসোসিয়েশনের লিডারদের বলেছি ডাক্তারদের তালিকা প্রকাশ জন্য। আমরাই প্রচার করবো যেসব ডাক্তার নিয়মিত রোগী দেখছেন।


বেসরকারি হাসপাতালে রোগীদের উপস্থিতি প্রসঙ্গে সিভিল সার্জন বলেন, আমি আজ ফেনী ডায়াবেটিস হাসপাতাল পরিদর্শন করেছি। সেখানে সকল ডাক্তারের উপস্থিতি রয়েছে। সেখানে ৩৮জন রোগী ভর্তি রয়েছে, বহি:বিভাগ হতে ১৭০জন রোগী সেবা পেয়েছে। কনসেপ্ট প্লাস চেম্বারে ডাক্তারদের উপস্থিতিও সন্তোষজনক।


তিনি বলেন, স্বাভাবিক সময়েও শতভাগ ডাক্তার চেম্বার করেন না। ৬০-৭০ শতাংশ ডাক্তার চেম্বারে বসলে রোগীর স্বাস্থ্যসেবা পেতে সমস্যা হবে না।


ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ ইকবাল হোসেন জানান, রবিবার হাসপাতালের বহিঃবিভাগে ১শ ৪০জন রোগী স্বাস্থ্যসেবা নিয়েছে এবং ভর্তি রয়েছে ১শ ৩৬জন রোগী।


রোগীর সংখ্যা অন্যসময়ের তুলনায় কম। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে সরকার প্রবর্তিত টেলিমেডিসিন সেবা নিচ্ছেন অনেক মানুষ। অনেকে ভীত তাই সাধারণ রোগ নিয়ে হাসপাতালে আসছেন না।


ফেনী জেলা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন উর রশিদ বলেন, যেসব ডাক্তার ঢাকা হতে আসতেন তারা ব্যতীত অন্য ডাক্তারগণ চেম্বারে আছেন। তিনি বলেন, বেশীরভাগ ডাক্তার সরকারী চাকুরীতে রয়েছেন। চলমান পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিভাগ সকল ডাক্তারকে স্টেশনে থাকতে বলেছেন।


রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চেম্বারে রোগীর সংখ্যা কম। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অসুস্থ হল অনেকে স্থানীয় ফার্মাসী হতে ঔষধ সেবন করছেন বলে জানতে পেরেছি।