‘আমার জন্মের পর হতে এ ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হইনি, যদিও আমি এখনতো ছোট। আমরা এখনই সচেতন না হলে আমাদের সামনে ভয়াবহ বিপদ। এটি শুধু ফেনীর জন্য না সারা বাংলাদেশের জন্য। আমরা নিজের অবস্থান থেকে সচেতন না হলে সরকারের একার পক্ষে তা সামাল দেয়া সম্ভব নয়।’


কথাগুলো বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকা অলরাউন্ডার ফেনীর ছেলে সাইফুদ্দিনের। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) রাতে নিজের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজে লাইভে এসে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ও আমাদের অসেচতনতার পরিণতি নিয়ে নিজের আশংকার কথা বললেন সাইফ।


লাইভের আসার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে জাতীয় দলের এ ক্রিকেটার বলেন, আমি বিগত ৬ মাস ধরে ইনজুরিতে ছিলাম। ক্যালসিয়াম ঔষধ খাওয়াটা আমার এক ধরনের অভ্যাসে পরিণত হয়। আমি প্রায় একমাস আগে ঢাকা হতে ফেনীতে আসি। গতকাল আমার ঔষধ শেষ হয়ে যায়। আমি স্বাভাবিকভাবে আমার বাসার পাশের ফার্মেসীতে যাই ক্যালসিয়াম ঔষধ নিয়ে আসতে।


রাস্তায় জনসমাগম দেখে সাইফ আপেক্ষ করে বলেন, যেহেতু আমি ফেনীর ছেলে, ফেনীর জন্য কিছু করাটা আমার জন্য গর্বের। আজকে আমি দেখে খুব হতাশ হলাম, আমরা আসলে হোম কোয়ারেন্টিন ঠিকভাবে পালন করছি কিনা। আমি আজকে ৫ থেকে ৭ মিনিটের মত বাইরে ছিলাম, শহরের ট্রাংক রোড ও বিভিন্ন স্থানে প্রচুর মানুষের আনাগোনা। যদিও যানবাহন চলাচল কম। সন্ধ্যার পরে একটা ভূতুড়ে পরিবেশ ফেনীতে। কিন্তু দিনের বেলা সবাই স্বাভাবিকভাবে ঘুরাফেরা করছে ফেনীতে।


এ অসেচতনতার পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে উল্লেখ করে সাইফ বলেন, খবরে দেখাচ্ছে আমরা বিপদজ্জনক অবস্থার দিকে যাচ্ছি। প্রতিদিনই মানুষ মারা যাচ্ছে, আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আমাদের চেয়েও বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ হিমশিম খাচ্ছে করোনাভাইরাস মোকাবেলা করতে। আমরা সেই তুলনায় অনেক পিছিয়ে তাদের চেয়ে। আমরা সচেতন না হলে এটি আমাদের জন্য খুব কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।


দর্শকের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের জরুরী প্রয়োজন থাকবে কিন্তু তা সকাল ১০টা হতে দুপুর ১টা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ করে দেয়া উচিত। সকাল ৯টা হতে ৫টা পর্যন্ত আমরা ঘোরাঘুরি করলে তো আমরা এ ভাইরাস প্রতিরোধ করতে পারবো না।


তিনি বলেন, আমরা আগামী এক-দুইমাস যদি কষ্ট করতে না পারি তো সারাজীবন কিভাবে তা বহন করবো? আমাদের বাঙালি জাতির স্বভাব হচ্ছে, নিজেদের কাঁধের উপর বিপদ আসা ছাড়া আমরা সচেতন হই না।

লাইভে সকলকে সরকারি নির্দেশনা যথাযথভাবে মেনে চলার অনুরোধ করে তিনি বলেন, আগামী এক হতে দুই মাস নিজের জীবনটাকে গুছিয়ে রাখতে চেষ্টা করি। আমরা যতবেশি সচেতন হব, তত তাড়াতাড়ি আমরা এর প্রতিকার পাবো।