আজ বুধবার (৬ মে) ফেনীতে নতুন করে আরও ২ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত দুজনই কিশোরী। তাদের সংক্রমণের উৎস জানা যায়নি। তাহলে তারা কিভাবে সংক্রমিত হলেন? উপসর্গহীন কারও মাধ্যমে? ফেনীতে কি কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়েছে? ফেনীর পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে? এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএমএ ফেনী জেলা সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ সাহেদুল ইসলাম কাওসার। বুধবার সন্ধ্যায় নিজের ফেইসবুক আইডিতে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন-

কোন সংস্পর্শের ইতিহাস ছাড়াই ফুলগাজীর প্রত্যন্ত গ্রামে খেটে খাওয়া একজন যার কিনা ফেনী শহরে আসার ও ইতিহাস নেই এরকম একজন কোভিড-১৯ পিজিটিভ হওয়া মানে " কম্যুনিটি ট্রান্সমিশন "-অর্থাৎ উপসর্গবিহীন রোগী নিজের অজান্তেই ঘুরে বেড়াচ্ছে।


এছাড়াও ফেনী জেনারেল হাস্পাতালে গত কয়েকদিন যাবৎ ভর্তিকৃত একজন রোগীও কোভিড-১৯ পজিটিভ মানে বেশ কিছু চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী কোয়ারেন্টাইন এ যেতে হচ্ছে। এমতাবস্থায় ট্রান্সমিশন রোধের একমাত্র উপায় হলো সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা। করোনা সম্মুখ যোদ্ধা চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী জনপ্রশাসন-পুলিশ প্রশাসন -সামরিক বাহিনী- গণমাধ্যম কর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টার প্রতি সম্মান জানিয়ে নিজের ও অন্যকে বাঁচানোর তাগিদে সাধারণ মানুষকে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ঘরে থাকাই একান্ত আবশ্যক। প্রয়োজনে প্রশাসনকে কঠোরতর হতে হবে!


ফেনী জেলা অন্য অনেক জেলা থেকেই ভালো অবস্থায় ছিলো এতদিন। একটি খারাপ টার্ণ এর দিকে মোড় নিচ্ছে হয়তোবা। তাই এক্ষুনি সর্বোচ্চ সতর্কতা প্রয়োজন।


মহান আল্লাহতালা সবাইকে হেফাজত করুন।
আমিন।

লেখকঃ

অধ্যাপক, রেস্পেরেটরী মেডিসিন বিভাগ

বাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ

সভাপতি

বিএমএ, ফেনী জেলা।