ফুলগাজীতে করোনা যুদ্ধের সম্মুখ সারিতে যুদ্ধ করছিলেন দুই জনে। কিন্তু যুদ্ধ করতে গিয়ে নিজেরাই আক্রান্ত হয়েছিলেন করোনা নামক ঘাতক অণুজীবের কবলে। কিন্তু দৃঢ় মনোবল আর সাহস নিয়ে যুদ্ধ করে তারা পরাজিত করলেন করোনাকে। শুধু তাই নয়, হাল ছাড়েননি তারা। সুস্থ হয়ে আজ আবার যোগ দিলেন যুদ্ধের ময়দানে। তারা হলেন ৩০ তম বিসিএস এর কর্মকর্তা ৩১ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কনসালট্যাণ্ট (সার্জারী) ডা. তানভীর আহমেদ স্যার (৩২) এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য পরিদর্শক আবদুস সোবহান (৫৫)।


আজ রবিবার ( ৭ জুন) দুপুরে কর্মস্থলে যোগদান করেছেন তারা। এ দুই করোনাজয়ী যোদ্ধাকে বরং করে নিতে স্বয়ং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডাঃ সাজ্জাদ হোসেন। ফুল দিয়ে শুভকামনা জানিয়ে তিনি তাদের প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল আলিম মজুমদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ বি এম মোজাম্মেল হক, আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রফিকুল ইসলাম এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত সকল চিকিৎসকবৃন্দ ও কর্মকর্তা - কর্মচারীরা।

করোনা থেকে মুক্ত হয়ে ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মক্ষেত্রে ফিরছেন দুইজন করোনা বিজয়ী।তারা হলেন ৩০ তম বিসিএস এর কর্মকর্তা, ৩১ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কনসালট্যাণ্ট( সার্জারী) জনাব ডা. তানভীর আহমেদ স্যার (৩২) এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য পরিদর্শক জনাব আবদুস সোবহান (৫৫)।


উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানান, তাদের দুইজনের করোনা উপসর্গ দেখা দিলে গত ১২ মে ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনষ্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) এ পাঠানো হয়। ১৬ মে তাদের করোনা পজিটিভ ফলাফল আসে। এরপর ১৭ মে দ্বিতীয় দফায় তাদের নমুনা সংগ্রহ করে নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ পাঠানো হয়। পরদিন ১৮ মে রাতে ওই দুই কর্মকর্তার করোনা ফলাফল নেগেটিভ আসে। এরপর গত ১৯মে তৃতীয় দফায় তাদের দুজনের নমুনা সংগ্রহ করে নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ পাঠানো হলে ২১ মে রাতে তাদের তৃতীয় নমুনার ফলাফল নেগেটিভ আসে।


ডাঃ মোজাম্মেল হক জানান, গত ২২ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত এ দুজন করোনা যোদ্ধা হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। বর্তমানে তাঁরা সুস্থ আছেন।  তাদের ফিরে পেয়ে উপজেলার করোনা যোদ্ধাদের শক্তি, মনোবল ও সাহস দুটোই বৃদ্ধি পেয়েছে।