দেশীয় উৎপাদিত সরিষার তেলের ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) অব্যাহতির প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ২০২০-২১ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট অধিবেশনে এই প্রস্তাব দেন তিনি। সরিষার তেলের ওপর অর্থমন্ত্রীর মূসক অব্যাহতির প্রস্তাব সংসদে গৃহীত হলে সরিষার তেলের দাম কমবে।


দাম কমলে বাজারে সরিষার তেলের ভোক্তা চাহিদা বাড়বে। এর ফলে কৃষক ও উৎপাদন সংশ্লিষ্টরা সরিষার তেল উৎপাদনে আগ্রহী হবেন বলে ধারণা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা।


সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, গত (২০১৯-২০) অর্থবছরে সরিষা তেলে ৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর আরোপ করা হয়েছিলো। দেশীয় উৎপাদিত এই পণ্য এমনিতেই আমদানি করা ভোজ্য তেলের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারছে না। তার ওপর করারোপে পণ্যটির মূল্যবৃদ্ধি বেড়ে যায়। দেশের বাইরে থেকে আমদানি করা ভোজ্য তেলের মূল্য তুলনামূলক কম হওয়ায় দেশীয় সরিষা তেল ক্রয়ে ভোক্তারা আগ্রহ হারিয়ে পেলে। এতে করে লোকসানের মুখে পড়ে সরিষা উৎপাদক ও তেল উৎপাদনের সঙ্গে সম্পৃক্ত কারখানাগুলো।


শারমিন আক্তার আরও বলেন, স্থানীয়ভাবে সরিষার তেল উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্প ও প্রনোদনার মাধ্যমে কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ করলেও বাজারে তেলের চাহিদা কম হাওয়ায় কৃষকরা সরিষা উৎপাদনে আগ্রহী হচ্ছে না। যারা উৎপাদন করছে তারাও ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।


দেশে সরিষার উৎপাদন কমে যাওয়ায় তেলের চাহিদা পূরণে প্রতিবছর ১২ থেকে ১৩ লাখ টান ভোজ্য তেল আমদানি করতে হয়। আমদানি তেলের প্রভাবে দেশীয় উৎপাদিত সরিষার তেলে অধিকাংশ ঘানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েছে।


যদি দেশীয় উৎপাদিত সরিষার তেলের মূল্য সংযোজন কর প্রত্যাহার করা হয় কৃষকরা সরিষা উৎপাদন করে ন্যায্য মূল্যে তা বিক্রি করতে পারবে। উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও কম খরচে তেল উৎপাদন করবে। সহসায় বাজারে সরিষার তেলের চাহিদা বাড়বে বলে এই কর্মকর্তা মনে করেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর অনুমোদনক্রমে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য মন্ত্রী ৫ লাখ ৬৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন।