দিনের ব্যবধানে নোয়াখালীর আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ফেনীর ৫৬টি নমুনা পরীক্ষার নতুন করে আরও ১০জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।

এ নিয়ে জেলা মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে ৯শ অতিক্রম করেছে। মোট শনাক্ত হয়েছে ৯০২জন। শনাক্তের প্রথম মাসে ফেনীতে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৩০ জন। আর গত দেড় মাসে সেই সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩০গুণ।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, আজ নতুন করে আরও ৫৮জন রোগী সুস্থ হয়েছে। মোট সুস্থ হয়েছে ৬২১জন। আজ রবিবার ( ৫ জুলাই) জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এসব তথ্য জানিয়েছে। নতুন সুস্থ্য হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সদরে ৪৭জন, দাগনভূঞা ১০জন ও ছাগলনাইয়ায় একজন রয়েছে।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ফেনীতে সুস্থতার হার প্রায় ৬৮ শতাংশ। অর্থাৎ এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত করোনা রোগী অর্ধেকেরও বেশি রোগী সুস্থ হয়েছেন। আর জেলা করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ১৭জন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, গতকাল শুক্রবার নোয়াখালীর আবদুল মালেক মেডিকেল কলেজ ল্যাবে হতে ৫৬টি নমুনার প্রতিবেদন পাওয়া যায়। তার মধ্যে ১০টি পজিটিভ এসেছে। নতুন শনাক্তকৃতদের মধ্যে ফেনী সদরে ৩ জন, দাগনভূঞা ৫জন, সোনাগাজীতে ১জন ও ছাগলনাইয়ায় ১ জন রয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ প্রদত্ত তথ্যমতে এ পর্যন্ত ফেনীতে শনাক্ত ৯০২ রোগীর মধ্যে সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছে ফেনী সদরে ৩৫৪ জন। শনাক্তের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানের রয়েছে দাগনভূঞা উপজেলা। এ উপজেলায় মোট শনাক্ত করা হয়েছে ১৯১ জন। এরপরে রয়েছে সোনাগাজীতে ১৫১ জন, ছাগলনাইয়ায় ১১৩ জন, ফুলগাজী ৪৪ জন ও পরশুরামে ৩৬ জন। এছাড়া ফেনীর বাইরের ১৩ জন রোগী রয়েছে।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, আজ পর্যন্ত ফেনীতে মোট সংগৃহীত ৫ হাজার ২২৪টি নমুনার মধ্যে ৫ হাজার ৫৮টি নুমনার পরীক্ষার ফল পাওয়া গেছে। শনাক্তকৃতদের মধ্যে ১৩জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বাকীরা হোম আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে চিকিৎসার জন্য ১৮জনকে অন্যত্র পাঠানো হয়েছে।

করোন ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত সোনাগাজীতে সর্বোচ্চ মারা গেছেন ৮জন। এছাড়া মৃতদের মধ্যে ফেনী সদরে ৫জন, দাগনভূঞায় ২জন এবং ছাগলনাইয়া ২জন রয়েছেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ১৬ মে হতে আজ ৫ জুলাই রবিবার পর্যন্ত ৮৬২জন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। গত ১৬ এপ্রিল জেলায় প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্তের কথা জানায় স্বাস্থ্য বিভাগ। শনাক্তের প্রথম মাসে রোগীর সংখ্যা ছিল ৩০জন। মে ও জুন মাসে এসে সেটি প্রায় ৩০ গুন হারে বেড়েছে।