সরকারি বিনামূল্যের গর্ভনিরোধক ইনজেকশন 'স্বস্তি' অবৈধভাবে রাখায় ফেনীতে খুরশিদা মেডিকেল হল নামে এক প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে ভ্রাম্যমান আদালত।

আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকালে শহরের বাঁশপাড়া ঔষধ মার্কেটে খুরশিদা মেডিকেল হল নামে একটি প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যের ঔষধটি অবৈধভাবে রাখায় মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯, ১২ এর ২ ধারায় সিলগালা করা হয়।

স্বস্তির গায়ে লেখা রয়েছে 'পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সম্পদ, বিক্রয়ের জন্য নয়'। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানান, বিনামূল্যের 'স্বস্তি' বিক্রি হচ্ছে অনির্দিষ্ট দামে।

সেবাগ্রহনকারীর কাছে পরিবার পরিকল্পনা অধিপ্তরের ঔষধ সরবরাহ প্রসঙ্গে ফেনী জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, সেবাদানকারী নিজস্ব জনবলের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে তা সরবরাহ করা হয়। তিনি জানান, উপজেলা কর্মকর্তার কাছে প্রয়োজনীয় পরিমান ঔষধ অধিদপ্তর হতে আসে। এরপর ইউনিয়ন পর্যায়ে ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার ভিজিটর এবং ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার এসিস্ট্যান্টের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট পরিবারকে সেবা দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া কয়েকটি এনজিও এ ঔষধটি উপজেলা অফিস হতে সংগ্রহ করে থাকে।

বিনামূল্যের ঔষধ বাজারে পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ঔষধটি বিনামূল্যে পাওয়া যায় এমন তথ্য অনেকে হয়ত জানেন না। এর সুযোগ নিচ্ছে অসাধু ব্যক্তিরা। এ বিষয়ে করণীয় প্রসঙ্গে তিনি বলরেন, এমন নিশ্চিত তথ্য পেলে তদন্তের ভিত্তিতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ফেনী সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইফতেখার হোসেন চৌধুরী জানান, মাঠকর্মী এবং এনজিওর মধ্যে মেরী স্টোপস ও সূর্যের হাসি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের ঔষধটি সরবরাহ করা হয়। এ বিষয়ে তদন্তের মাধ্যমে বোঝা যাবে কারা এটি ফার্মাসীতে সরবরাহ করছে।

তিনি জানান, প্রত্যেক সুবিধাভোগীর জন্য দম্পতি রেজিস্টার রযেছে। কোন ব্যক্তি কি সেবা পাচ্ছে তা সেখানে লিপিবদ্ধ থাকে। তাছাড়া যতজন ইনজেকশন নিতে চায় তাদের তালিকা করে চাহিদার ভিত্তিতে সরবরাহ করা হয়।

একজন ব্যবসায়ী জানান, একটি বেসরকারি ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান একই ধরণের একটি ঔষধ বাজারজাত করে থাকে। এত করে জন্মনিয়ন্ত্রণে এর চাহিদা বাজারে সৃষ্টি হয়েছে। যে কারনে সরকারি বিনামূল্যের ঔষধটি দোকানী অল্প দামে কিনে তা বেশী দামে বেচে অধিক লাভ পাচ্ছে।