১৬ নভেম্বর,২০১৯
।। নিজস্ব প্রতিবেদক।।
এবারের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ফেনীতে ছাত্রের চেয়ে ছাত্রীর সংখ্যা বেশি। আগামীকাল রবিবার (১৭ নভেম্বর) অনুষ্ঠেয় এ পরীক্ষায় ছাত্রের তুলনায় ২ হাজার ৫শ ২৬ জন বেশি ছাত্রী রয়েছে বলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানিয়েছে। অন্যদিকে গত বছরের তুলনায় এবার মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে।


প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানায়, পরীক্ষার প্রথম দিন প্রাথমিক ও ইবতেদায়ীতে ইংরজেী বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। জেলার ৬২টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৪২টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৩১ হাজার ৯শ ৫০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। এদের মধ্যে ১৪ হাজার ৭শ ১২ জন ছাত্র ও ১৭ হাজার ২শ ৩৮ জন ছাত্রী।


২০১৮ সালে ৩২ হাজার ৯শ ২৬ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এদের মধ্যে ১৫ হাজার ৪শ ২৭ জন ছাত্র ও ১৭ হাজার ৪শ ৯৯ জন ছাত্রী ছিল। গত বছরের চেয়ে এবার ৯শ ৭৬ জন পরীক্ষার্থী কমেছে।


শিক্ষা অফিস আরও জানায়, জেলার ৯শ ১১টি বিদ্যালয় থেকে সমাপনী পরীক্ষায় ২৪ হাজার ১শ ৪০ পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। গত বছর পরীক্ষার্থী ছিল ২৫ হাজার ১৬ জন। কমেছে ৮শ ৭৬ জন। ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ১শ ৩১টি মাদ্রাসা থেকে ৭ হাজার ৮শ ১০ পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। গত বছর ৭ হাজার ৯শ ১০ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। পরীক্ষার্থী কমেছে ১শ জন।


ফেনী সদর উপজেলার ২২টি কেন্দ্রে ৩শ ১২টি বিদ্যালয়ের ৯ হাজার ৭২ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৪ হাজার ১শ ৪৭ জন ও ছাত্রী ৪ হাজার ৯শ ২৫ জন রয়েছে। গত বারের পরীক্ষার্থী ছিল ৯ হাজার ৩শ ৬৫ জন।


দাগনভূঞা উপজেলার ৯টি কেন্দ্রে ১শ ৬২টি বিদ্যালয়ে ৪ হাজার ৪শ ৪৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ হাজার ৯শ ৬৯ জন ছাত্র ও ২ হাজার ৪শ ৭৮ জন ছাত্রী রয়েছে। গতবার ছিল ৪ হাজার ৪শ ২৩ জন পরীক্ষার্থী।


সোনাগাজী উপজেলার ১১টি কেন্দ্রে ১শ ৬১টি বিদ্যালয়ের ৪ হাজার ১শ ৯১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ হাজার ৮শ ২৭ জন ছাত্র ও ২ হাজার ৩শ ৬৪ জন ছাত্রী রয়েছে। গত বছর পরীক্ষার্থী ছিল ৪ হাজার ৫শ ৯১ জন।


ছাগলনাইয়া উপজেলার ৯টি কেন্দ্রে ১শ ২৭টি বিদ্যালয়ের ২ হাজার ৮শ ২২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ হাজার ২শ ৯৫ জন ছাত্র ও ১ হাজার ৫শ ২৭ জন ছাত্রী রয়েছে। গত বছর ছিল ২ হাজার ৮শ ৯৩ জন পরীক্ষার্থী।


পরশুরাম উপজেলার ৫টি কেন্দ্রে ৬৮টি বিদ্যালয়ের ১ হাজার ৭শ ১৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৭শ ৪১ জন ছাত্র ও ছাত্রী ৯শ ৭৬ জন রয়েছে। গত বছর পরীক্ষার্থী ছিল ১ হাজার ৭শ ৭৮ জন।


ফুলগাজী উপজেলার ৬টি কেন্দ্রে ৮১টি বিদ্যালয়ের ১ হাজার ৮শ ৯১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৮শ ৬৬ জন ছাত্র ও ১ হাজার ২৫ জন ছাত্রী রয়েছে। গত বছর ছিল ১ হাজার ৯শ ৬৬ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।


প্রাথমিক সমাপনী ইংরেজি ভার্সনে ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ৭৪ জন। এর মধ্যে ফেনী সদর উপজেলার ২টি কেন্দ্রের ৪টি বিদ্যালয়ের ৫৬ জন, সোনাগাজী উপজেলার ১ কেন্দ্রের ১টি বিদ্যালয়ের ১৫ জন ও ছাগলনাইয়া উপজেলার ১টি কেন্দ্রের ১টি বিদ্যালয়ের ৩ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। গত বছর ইংলিশ ভার্সনে পরীক্ষার্থী ছিল ৬৩ জন।


অন্যদিকে ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় ৫৫টি কেন্দ্রে ১শ ৩৭টি মাদ্রাসার ৭ হাজার ৮শ ১০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। এর মধ্যে ছাত্র ৩ হাজার ৮শ ৬৭ ও ৩ হাজার ৯শ ৪৩ জন ছাত্রী রয়েছে।


ফেনী সদর উপজেলার ১৫টি কেন্দ্রে ২৯টি মাদ্রাসার ২ হাজার ৬শ ৪০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। এর মধ্যে ছাত্র ১ হাজার ২শ ৯৬ জন ও ছাত্রী ১ হাজার ৩শ ৮ জন রয়েছে। গত বছর পরীক্ষার্থী ছিল ২ হাজার ৬শ ৬৩ জন।


দাগনভূঞা উপজেলার ৯টি কেন্দ্রে ৩০টি মাদ্রাসার ১ হাজার ৫শ ৫৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। এর মধ্যে ছাত্র ৭শ ২৯ জন ও ছাত্রী ৮শ ২৫ জন রয়েছে। গত বছর পরীক্ষার্থী ছিল ১ হাজার ৪শ ২৭ জন।


সোনাগাজী উপজেলার ১১টি কেন্দ্রে ২৩টি মাদ্রাসার ১ হাজার ৩শ ৯৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। এর মধ্যে ছাত্র ৬শ ৭২ জন ও ছাত্রী ৭শ ২৪ জন রয়েছে। গত বছর ১ হাজার ৪শ ৬৮ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।


ছাগলনাইয়া উপজেলার ৯টি কেন্দ্রে ২৭টি মাদ্রাসার ১ হাজার ২শ ২৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। এর মধ্যে ছাত্র ৬শ ১৫ জন ও ছাত্রী ৬শ ১৩ জন রয়েছে। গত বছর পরীক্ষার্থী ছিল ১ হাজার ৩শ ৫২ জন।


পরশুরাম উপজেলার ৩টি কেন্দ্রে ১৩টি মাদ্রাসার ৫শ ৬৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। এর মধ্যে ছাত্র ৩শ ২৮ জন ও ছাত্রী ২শ ৩৯ জন রয়েছে। গত বছর অংশগ্রহণ করে ৫শ ৫১ জন পরীক্ষার্থী।


ফুলগাজী উপজেলার ৬টি কেন্দ্রে ৯টি মাদ্রাসার ৪শ ৬১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। এর মধ্যে ছাত্র ২শ ২৭ জন ও ছাত্রী ২শ ৩৪ জন রয়েছে। গত বছর ৪শ ৪৯ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।


জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: নুরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো মনিটরিং করা হবে।


তিনি আরও জানান, ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হ্ওয়া এই পরীক্ষা শেষ হবে ২৪ নভেম্বর। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে।