২০২০ সালে হজ পালনের জন্য নিবন্ধন ফি জমা দেয়া ৬৫ হাজার ৫১২ জনের নিবন্ধনের টাকা ফেরত দেওয়ার (রেজিস্ট্রেশন রিফান্ড) কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

অনলাইনে 'নিবন্ধন রিফান্ড' আবেদন দাখিল করার পর, নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া শেষ হলেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সমুদয় টাকা বুঝে পাবেন। 'নিবন্ধন রিফান্ড' কার্যকর হলে নিবন্ধন ও প্রাক- নিবন্ধনও বাতিল হয়ে যাবে। পরবর্তীতে হজে যাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নতুন করে হজ নিবন্ধন করতে হবে।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে 'নিবন্ধন রিফান্ড' এর সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সরকারি এবং বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধনকৃত হজ গমনেচ্ছুরা চারটি ধাপ অনুসরন করে 'নিবন্ধন রিফান্ড' সম্পন্ন করতে পারবেন।

আবেদন : হজ পোর্টালে নিজে/ নিবন্ধন কেন্দ্র/ নিবন্ধনকারী হজ এজেন্সি'র মাধ্যমে অনলাইনে ফরম পূরন করতে হবে। হজযাত্রীর নিবন্ধন ও প্রাক-নিবন্ধনের সকল অর্থ একসঙ্গে দেওয়া হবে। বেসরকারিভাবে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধনের টাকা হজ পরিচালকের দফতর থেকে সংগ্রহ করতে হবে। এক ভাউচারে নিবন্ধিত একই পরিবারের হজযাত্রীরা শুধুমাত্র একসঙ্গে 'নিবন্ধন রিফান্ড' আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে কোনো চার্জ কাটা হবেনা।

সুপারিশ : আবেদন ঢাকা হজ অফিস/ সংশ্লিষ্ট এজেন্সি যাচাই করে তা ধর্ম মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠাবে।

অনুমোদন : রিফান্ডের আবেদন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুমোদন করলে হজ পোর্টালে নিবন্ধন রিফান্ড সেকশন থেকে রিফান্ড ভাউচার ডাউনলোড করতে হবে।

অর্থ ফেরত : বেসরকারিভাবে নিবন্ধিতদের ক্ষেত্রে হজ এজেন্সির মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করার কথা উল্লেখ করে থাকলে, সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করে অর্থ গ্রহন করতে হবে, সেক্ষেত্রে অর্থ ছাড়ের জন্য সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সি ব্যাংক বরাবর পেমেন্ট স্ট্যান্ডিং অর্ডার বা প্রত্যায়নপত্র দেবে। সরকারিভাবে নিবন্ধিতরা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ ডাউনলোড করা রিফান্ড ভাউচার নিয়ে সোনালী ব্যাংকের নির্বাচিত শাখায় গিয়ে পে-অর্ডার সংরক্ষন করবে বা বাংলাদেশ ইলেক্ট্রনিক ফান্ডস ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক (বিইএফটিএন) নম্বর নিশ্চিত করে অর্থ ট্রান্সফার করতে হবে।

প্রসঙ্গত, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস এর সংক্রমণের মুখে চলতি বছর বিশ্বের কোনো দেশ থেকেই হজ যাত্রী যাওয়ার অনুমতি দেয়নি সৌদি আরব সরকার। পবিত্র হজ পালনে সৌদি আরব যেতে বাংলাদেশের ৬৫ হাজার ৫১২ জন নাগরিক নিবন্ধন করেছিলেন।