করোনা আক্রান্ত হয়ে ফেনী সদরের বালিগাঁও ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর করিম মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) সাড়ে ১১টার দিকে ফেনী ডায়াবেটিস হাসপাতালের ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জিয়াউদ্দিন বাবলুর পিতা।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, করোনা উপসর্গ থাকায় তার নমুনা সংগ্রহ করা হলে সেটি পজিটিভ আসে। এরপর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ফেনী ডায়াবেটিস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। গত ১০দিন ধরে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

আজ বিকাল ৪টায় বালিগাঁও ইউনিয়নের মরুয়ার চর গ্রামের নিজ বাড়িতে তার নামাযে জানাযা অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক শহীদ খোন্দকার জানিয়েছেন, তার মৃত্যুতে একজন নিবেদিত প্রাণ ত্যাগী নেতাকে হারিয়েছে আওয়ামী লীগ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন।

নুর করিমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। এক বিবৃতিতে তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে দলটি । ফেনী-২ আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি করিম উল্লাহ বি.কম ও সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীলও তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে সমবেদনা জানিয়েছেন।

অন্যদিকে জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকেও তার মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা জানানো হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাহ উদ্দিন ফিরোজ ও সাধারণ সম্পাদক জাবেদ হায়দার জর্জ মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

জীবদ্দশায় নুর করিম এলাকায় সাংস্কৃতিক ও সামাজিক নানা কর্মকান্ডে যুক্ত ছিলেন। তিনি আওয়ামীলীগের ওয়ার্ড কমিটির দায়িত্বে থাকার পরও দল মত নির্বিশেষে কাজ করেছেন এলাকায় সবার জন্য। তিনি ছিলেন ফকিরহাট আবু বকর উচ্চ বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য ও দক্ষিন মরুয়ার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি। মৃত্যুকালে স্ত্রী, ৩ ছেলে, ১ মেয়ে সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

উল্লেখ্য, এক মাসের মধ্যে নুর করিমসহ দুই বড় ভাই আব্দুল করিম ও খায়েজ আহাম্মদ মারা গেছেন। এদের মধ্যে একজন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান। আর বাকী ২জন করোনা আক্রান্ত ছিলেন বলে সূত্র জানিয়েছে।