দিনের ব্যবধানে নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাব হতে সর্বশেষ প্রকাশিত ফেনীর ৬৬টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরও ১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৬৮জনে। এছাড়া করোনা আক্রান্ত হয়ে জেলায় মোট মারা গেছেন মোট ৩৫ জন। আজ বুধবার (১৯ আগস্ট) সিভিল সার্জন ডাঃ মীর মোবারক হোসাইন এসব তথ্য জানান।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান শাখা সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার নোয়াখালীর আবদুল মালেক মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ফেনীর ৬৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধে ১৯টি পজিটিভ এসেছে। নতুন শনাক্তকৃতদের মধ্যে ফেনী সদরে ১ জন, দাগনভূঞা ১১ জন, পরশুরামে ৩ জন ফুলগাজীতে ২ জন ও ছাগলনাইয়ায় ১জন রয়েছে। এছাড়া আরও একজন রয়েছেন ফেনীর বাইরের বাসিন্দা।

এর মধ্যে আরও ২৬ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত জেলায় মোট ১ হাজার ২০৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছে বলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ প্রদত্ত তথ্যমতে, এ পর্যন্ত ফেনীতে শনাক্ত ১ হাজার ৫৬৮ জন রোগীর মধ্যে সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছে ফেনী সদরে ৫৫১ জন। শনাক্তের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দাগনভূঞা উপজেলা। এ উপজেলায় মোট শনাক্ত করা হয়েছে ৩৪৮জন। এরপরে রয়েছে সোনাগাজীতে ২৩৫জন, ছাগলনাইয়ায় ১৮১জন, পরশুরামে ১৩০ জন ও ফুলগাজীতে ৯৯ জন। এছাড়া ফেনীর বাইরের ২৩ জন রোগী রয়েছে।

অন্যদিকে করোনা আক্রান্ত হয়েছে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে সোনাগাজী উপজেলায়। এ উপজেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ১১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এরপরে ফেনী সদরে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। কেবল ফুলগাজী উপজেলা ছাড়া আর অন্যসব উপজেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে একাধিক ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেছেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ফেনীতে সুস্থতার হার ৭৬ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ২ শতাংশ। স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ফেনীতে মোট ৭ হাজার ৯২৬টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আজ পর্যন্ত ৭ হাজার ৮শ ৯৬ টি নমুনার ফল পাওয়া গেছে।

গত ১৬ এপ্রিল জেলায় ছাগলনাইয়া উপজেলায় প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়।