নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাব হতে সর্বশেষ প্রকাশিত ফেনীর ৭৮টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরও ১৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৩১জনে। এছাড়া করোনা আক্রান্ত হয়ে জেলায় মারা গেছেন মোট ৩৫ জন।

আজ সোমবার (২৪ আগস্ট) সিভিল সার্জন ডাঃ মীর মোবারক হোসাইন এসব তথ্য জানান।

এ সময়ের মধ্যে নতুন করে আরও ১৪ জন রোগী সুস্থ হয়েছে। এখন পর্যন্ত জেলায় মোট ১ হাজার ৩২৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছে বলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ফেনীতে সুস্থতার হার প্রায় ৮১ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ২ শতাংশ।

মোট ৮ হাজার ৬৪টি নমুনার ফলাফলে উক্ত সংখ্যা শনাক্ত করা হয়। মোট নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে শনাক্তের হার প্রায় ২০.২২ শতাংশ।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান শাখা সূত্রে জানা যায়, গতকাল রবিবার নোয়াখালীর আবদুল মালেক মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ফেনীর ৭৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধে ১৯টি পজিটিভ এসেছে। যার মধ্যে ২টি দ্বিতীয় নমুনা। নতুন শনাক্তকৃতদের মধ্যে ফেনী সদরে ৭ জন, দাগনভূঞায় ২ জন, সোনাগাজীতে ৫জন ও ছাগলনাইয়ায় ৩জন রয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৪.৩৫ শতাংশ।

স্বাস্থ্য বিভাগ প্রদত্ত তথ্যমতে, এ পর্যন্ত ফেনীতে শনাক্ত ১ হাজার ৬৩১ জন রোগীর মধ্যে সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছে ফেনী সদরে ৫৭০ জন। শনাক্তের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দাগনভূঞা উপজেলা। এ উপজেলায় মোট শনাক্ত করা হয়েছে ৩৬৩জন। এরপরে রয়েছে সোনাগাজীতে ২৪৪জন, ছাগলনাইয়ায় ১৯১জন, পরশুরামে ১৩০ জন ও ফুলগাজীতে ১০৭ জন। এছাড়া ফেনীর বাইরের ২৩ জন রোগী রয়েছে।

করোনা আক্রান্ত হয়েছে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে সোনাগাজী উপজেলায়। এ উপজেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ১১জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এরপরে ফেনী সদরে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া মৃতদের মধ্যে দাগনভুঞায় ৮ জন, ছাগলনাইয়ায় ৫ জন ও পরশুরামে ১ জন রয়েছে।

গতকাল রবিবার পর্যন্ত সংগৃহীত মোট ৮ হাজার ১৯৮টি নমুনার মধ্যে ৮ হাজার ৬৪টি নমুনার ফলাফল পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৪১ হাজার জনকে টেলিমেডিসিন সেবা প্রদান করা হয়েছে।

গত ১৬ এপ্রিল জেলায় ছাগলনাইয়া উপজেলায় প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়।