‘শিক্ষিত লোক ছাড়া সমাজ বা রাষ্ট্র চালানো অসম্ভব। যত বেশি সাক্ষরতা বৃদ্ধির হার বাড়ানো যাবে, দেশ ও জাতির উন্নয়ন এবং পরিবর্তন তত দ্রুত হবে। তাই সাক্ষরতা হার বৃদ্ধির জন্য শুধু শিক্ষক নয়, প্রত্যেককে নিজ নিজ দায়িত্ববোধ থেকে এগিয়ে আসতে হবে।’

ফেনীতে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুজজামান।

আজ মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ‘কোভিড-১৯ সংকটঃ সাক্ষরতা শিক্ষায় পরিবর্তনশীল শিখন-শেখানোর কৌশল এবং শিক্ষাবিদদের ভূমিকা’ শীর্ষক এ আলোচনার সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসক বলেন, বাংলাদেশে ৬৮ হাজার গ্রামের বিপরীতে ৬৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তাছাড়া কিন্ডারগার্টেন বা অন্যান্য বিদ্যালয় মিলে দেখা যায় ঘরে ঘরে স্কুল। কিন্তু বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো শিক্ষা দেবার জন্য ছাত্র পায়না। এজন্য যোগ্যতা ছাড়া স্কুল প্রতিষ্ঠা করা বন্ধ করতে হবে।

প্রাত্যহিক জীবনে শিক্ষার গুরুত্ব উল্লেখ করে মোঃ ওয়াহিদুজজামান বলেন, একজন অশিক্ষিত ব্যক্তি যেকোন সময় প্রতারিত হওয়ার সুযোগ থাকে। কিন্তু একজন শিক্ষিত ব্যক্তি তার অর্জিত জ্ঞানের দ্বারা প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পায়। তিনি আরও বলেন, একজন বাচ্চার প্রথম শিক্ষক হলো তার মা। তিনি যদি অশিক্ষিত হন, তাহলে ভালো কিছু আশা করা কষ্টসাধ্য।

সভায় সাক্ষরতার হার এবং শিক্ষার গুনগত মান বৃদ্ধিতে শিক্ষকদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবসময় যেকোন ধরনের সহযোগিতা করার কথা জানান তিনি।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোছাঃ সুমনী আক্তারের সভাপতিত্বে এবং সহকারী কমিশনার (শিক্ষা শাখা) লিজা আক্তার বিথির পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক ড. মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যজিস্ট্রট মোঃ গোলাম জাকারিয়া, ফেনী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বিমল কান্তি পাল ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নুরুল ইসলাম প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে একটি র‌্যালীর আয়োজন করা হয়।