সড়ক ও জনপথ এবং বাখারাবাদের টানটানিতে পড়ে থাকা মহিপালের পাইপ লিকেজ হয়ে বের হওয়া গ্যাসের বুদ বুদ বন্ধ করতে ১০ বস্তা বালি ফেলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বাখরাবাদের সহকারী প্রকৌশলী কামরুল হাসান কর্মীদের নিয়ে এসে সেখানে বালি চাপা দিয়েছেন। আজ শনিবার (১২ সেপ্টম্বর) সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য লাল পতাকা গেড়ে বিপদ সংকেত বুঝানো হয়েছে। বালি চাপা ভেদ করে আজও সেখানে গ্যাস উদগীরণ হতে দেখা গেছে।

আজ সকাল ১০টার দিকে বাখরাবাদ গ্যাস সিস্টেমস লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) শংকর মজুমদারসহ উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

দলে ছিলেন উপ-মহাব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিযারিং সার্ভিস) আবুল বাশার, নোয়াখালী আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিজিএম (বিক্রয়) মো. সোলায়মান, ডিজিএম (ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস) সাগির আহমেদ, ফেনী এরিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মোঃ সাহাবুদ্দিন, সহকারি প্রকৌশলী কামরুল হাসান ও নুরুল করিম প্রমুখ।

চাপা দেয়া বালি ভেদ করে বের হচ্ছে গ্যাসের বুদ বুদ

তবে পরিদর্শন শেষে এ ব্যাপারে এখন পুরোপুরি আশ্বস্ত করতে পারেন নি বাখরাবাদের জিএম। তিনি জানিয়েছেন, এটি জাতীয় মহাসড়কের অংশ হওয়ায় সওজ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ও সহযোগিতার বিষয় রয়েছে। তাদের কাছ থেকে সাড়া পেলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেছেন শংকর মজুমদার। পরিদর্শনকালে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অধস্তনদের নির্দেশ দেন তিনি।

এ ব্যাপারে গত ২৬ জুলাই বাখরাবাদ কর্তৃপক্ষ সড়ক ও জনপথ বিভাগকে লিখিতভাবে জানালেও এ ব্যাপারে কোন পক্ষই সুরাহা করতে পারেন নি। চিঠি পাঠানোর দুই মাস অতিবাহিত হবার পর বাখরাবাদের নোয়াখালী অঞ্চলের উপ-মহাব্যবস্থাপক সাগির আহমেদ এবং সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন আহমেদসহ উভয় বিভাগের কর্মকর্তারা গত ১০ সেপ্টেম্বর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যান। তারপরও বিষয়টি কোন সমাধানের আলো দেখেনি।

সড়ক জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন আহমেদর এ ব্যাপারে অবগত আছেন বলেন জানিয়েছেন। তিনি জানান, আমরা সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শনও করেছি। ট্রাফিক ব্যবস্থা ঠিক রেখে কিভাবে অতি দ্রুত বিষয়টির সমাধান করা যায় সে ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিলেও কবে বাস্তবায়িত হবে সে ব্যাপারে সুস্পষ্ট কিছু বলেন নি নির্বাহী প্রকৌশলী।

স্থানীয়রা বলছেন, ফ্লাইওভার তৈরীর সময় থেকেই মহিপালের এ অংশে গ্যাস লাইনের লিকেজে এ সমস্যা দেখা দেয়।  অনেকবার বিষয়টি বাখরাবাদকে জানানো হয়েছিল।

বাখরাবাদ কৃর্তপক্ষ জানিয়েছে, জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে সমস্যার ব্যাপারে বাখরাবাদকে সবার আগে অবহিত করা হয়।

মহিপাল ফেনীর অন্যতম ব্যস্ততম এলাকা। মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ এ ট্রানজিট পয়েন্টটি দিনরাত থাকে লোকারণ্য। যাত্রী, পথচারীসহ প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের আসা যাওয়া। এক টুকরো সিগারেটের ফুলকি, কিংবা একটু আগুনের স্পর্শ ঘটাতে পারে বিস্ফোরণ। এলাকার স্থানীয় ব্যক্তিরা বলছেন, নারায়নগঞ্জের মসজিদের গ্যাস লাইন লিকেজ হতে সংঘটিত ঘটনার কারণে এমনিতেই সাধারণ মানুষ আতংকগ্রস্ত। এর দ্রুত স্থায়ী সমাধানের আশায় রয়েছেন তারা।