ফেনীতে প্রায় এক বছর ধরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারকের পদ শূণ্য রয়েছে। বিচারক না থাকায় যেমনি বাড়ছে মামলার জট, তেমনি ন্যায় বিচারও বিঘ্নিত হচ্ছে। পাশাপাশি বিচারক না থাকায় সাধারণ মানুষ আইনের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৪ অক্টোবর সোনাগাজীতে আলোচিত নুসরাত হত্যা মামলায় রায় দেবার পর ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদকে ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা জজ হিসাবে পদন্নোতি দিয়ে বদলী করা হয়। সেই থেকে ওই ট্রাইব্যুনালে আজ পর্যন্ত আর কোন বিচারককে পদায়ন করা হয়নি। ফলে বর্তমানে ফেনী জেলা ও দায়রা জজ বেগম জেবুন্নেচ্ছাকে একসাথে তিনটি ভিন্ন আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

তাই সহসা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারকের নিয়োগের জন্য আইনমন্ত্রী ও আইন সচিবের কাছে আবেদন জানাচ্ছেন আইনজীবীরা।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বারের সদস্য ও ফেনী জজ কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট এম. শাহজাহান সাজু জানান, গত রবিবার আইনমন্ত্রীর সাথে এ ব্যাপারে আমার কথা হয়েছে। আমি বিষয়টি উনাকে জানিয়েছি। তিনি সহসা বিচারক নিয়োগ দেয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন।

এডভোকেট সাজু জানান, শুধু নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালেই ২ হাজারেরও বেশি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণ, যৌতুকের দাবিতে খুনসহ অনেক আলোচিত মামলা এ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। কিন্তু বিচারক না থাকায় এসব সহজে মামলা নিষ্পত্তি করা যাচ্ছে না। এর ফলে বিচার প্রক্রিয়া যেমন বিলম্বিত হচ্ছে, তেমনি মামলার জটও বাড়ছে। এছাড়া সাধারণ মানুষ বিচার প্রক্রিয়ার প্রতি আগ্রহও হারিয়ে ফেলছে। তাই ওই আদালতে অতি সত্ত্বর বিচারক পদায়ন জরুরী হয়ে পড়েছে।

এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে আইনমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তিনি।