বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা ও ছোটভাই সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) সাঈদ ইস্কান্দারের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছে জেলা বিএনপি। আজ বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বাদ আসর মরহুমের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার রুহের আত্মার মাগফেরাত কামনায় শহরের পাগলা মিয়া তাকিয়া মসজিদে জেলা বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অংশ নেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) জালাল আহমেদ মজুমদার, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু তালেব, জেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ ফরিদ বাহার ও সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, যুগ্ম-আহবায়ক অধ্যাপক এম এ খালেক, গাজী হাবিবউল্যাহ মানিক, এয়াকুব নবী, আলাউদ্দিন গঠন, আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী, সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ফজলুর রহমান বকুল, পৌর বিএনপি'র সদস্য সচিব মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া, জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাইদুর রহমান জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক এস এমকায়সার এলিন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালাউদ্দিন মামুন, সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ আলম মিলন প্রমুখ। এছাড়া এতে জেলা বিএনপির সদস্যসহ ও দলের সকল অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

মেজর (অবঃ) সাঈদ ইস্কান্দার

একই দিন সকালে তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে পরশুরামে উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আবদুল হালিম মানিকের সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম শাকিলের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।

মঙ্গলবার রাতে শহরের তাকিয়া রোডে মরহুমের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে ফেনী সদর উপজেলা বিএনপি। এতে জেলা বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের উপস্থিতিতে সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ফজলুর রহমান বকুল, যুগ্ম আহবায়ক বাবু তপন করসহ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকরা অংশ নেন।

উল্লেখ্য, ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সাঈদ ইস্কান্দার ২০১২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে মারা যান। তাকে বনানী সামরিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। ইস্কান্দার ১৩ জানুয়ারি ১৯৫৩ সালের দিনাজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৯ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দিনাজপুর মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি পদেও পদোন্নতি পেয়েছিলেন।

তিনি ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন ও মেজর পদে ১৯৮২ সালে সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন। এরপর ইস্কান্দার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে যোগ দেন এবং ফেনী-১ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ফেনী জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ইসলামিক টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন ইস্কান্দার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর।

সাঈদ ইস্কান্দারের স্ত্রী নাসরিন ইস্কান্দার। তাদের দুই ছেলে শামস ইস্কান্দার, সাফিন ইস্কান্দার ব্যবসায়ী ও মেয়ে সুমাইয়া ইস্কান্দার গৃহিনী।