ফেনী পৌরসভার বারাহীপুর এলাকায় চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় এমদাদুল হক রিপন (৪০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু ঘটেছে।

পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।

আজ বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে রেললাইন পার হবার সময় চট্টগ্রাম ঢাকাগামী সুবর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসীরা জানান, সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে বারাহীপুর এলাকায় অন্যমনস্কভাবে রেললাইন পার হচ্ছিলেন রিপন। এসময় ঢাকাগামী সুবর্ণা এক্সপ্রেসের সাথে ধাক্কা লেগে তিনি রেললাইনের বাইরে ছিটকে পড়েন। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ট্রেনটি চলে যাওয়ার পর তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকার লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পরে রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা এসে তার লাশ উদ্ধার করে।

ফেনী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, তার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে পুলিশ সদস্যরা গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। পরে পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে আসেন। তাদের উপস্থিতিতে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে সাইফুল ইসলাম জানান, নিহত লোকটি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। দূর্ঘটনায় তার মাথার একপাশ মারাত্মকভাবে থেঁতলে গেছে। তিনি ঐ এলাকার কোন এক সিমেন্ট দোকানে ফুটফরমাশ কাজ করতেন। ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

নিহতের শ্বশুর সুলতানপুর এলাকার বাসিন্দা কবির আহমেদ বলেন, এমদাদুল হক রিপন আমার জামাতা। সে অনেকটা আলাভোলা প্রকৃতির মানুষ ছিল। সালাহউদ্দিন মোড়ের একটা সিমেন্ট দোকানে কাজ করতো। আজ সকালে বারাহীপুর থেকে পরিচিতজনরা খবর দেয় রিপন ট্রেনে কাটা পড়েছে। খবর পেয়ে আমরা সেখানে ছুটে যাই।

নিহত রিপন দেবীপুরের ওয়ায়েজ উদ্দিন ভূঁঞা বাড়ির মৃত হাফেজ আহমেদ ও আলেয়া বেগমের ৪র্থ সন্তান। তিনি দুই মেয়ে ও এক ছেলের জনক।