বৈশ্বিক মহামারিতে দেশে বিপর্যস্ত জীবনযাত্রা। বিঘ্নিত হচ্ছে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। শহুরে স্কুলগুলোতে অনলাইন পাঠদানের প্রচলন তৈরী হলেও শহরতলী এবং গ্রামের স্কুলে তা সহজসাধ্য নয়।

তাই চলমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনযোগী করতে বাড়িতে বাড়িতে যাচ্ছেন অগ্রণী স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিখিল চন্দ্র নাথ ও শিক্ষকবৃন্দ।

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার পাঠাননগর ইউনিয়নের কাছারিবাজারে ১৯৭৩ সালে স্থাপিত স্কুলটি এলাকার বাতিঘর হিসেবে কাজ করছে। তবে করোনাভাইরাস প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও শ্রেণি কক্ষের পাঠদানে।

এ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক বলেন, করোনা মহামারীতে স্বাভাবিক শ্রেণী কার্যক্রম বন্ধ থাকার কারণে অভিভাবকদেরকে সচেতন করতে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার খোঁজখবর নিতেই আমাদের এই উদ্যোগ।

তিনি বলেন, আমার শিক্ষার্থী সংখ্যা ৪০০জন। তাদের পড়ালেখায় ধরে রাখতে এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।

স্কুলের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী রুচিতা ও হাসান জানান, শিক্ষকদের এ উদ্যোগের ফলে তারা পড়ালেখায় নিয়মিত হতে অনুপ্রাণিত হচ্ছে। রুচিতা বলেন, পড়তে হবে এমন একটি চাপ নিজের মধ্যে কাজ করছে।