ঘটনাটি ঘটেছিল গত সোমবার দুপুরে ছাগলনাইয়া উপজেলার মহামায়া ইউনিয়নের উত্তর যশপুর গ্রামের উত্তর পাড়ায়। শিশুটির মা তার দেবরকে ভাত বেড়ে দিয়ে গিয়েছিলেন গোসল করতে। সেই সুযোগে একা পেয়ে চিপস’র লোভ দেখিয়ে ডেকে নিয়ে ৪ বছরের ভাতিজিকে ধর্ষণ করেন চাচা। ঘটনাটি চাপা পড়ে যেত, যদি না শিশুটি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে না আসত। তাকে হাসাপাতালে নেবার পরেই ঘটনাটি প্রকাশ পেল। আর প্রকাশ পেতেই অভিযুক্ত চাচা পালিয়ে গেল। পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে নানা কৌশল খাটিয়ে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হল।

ধর্ষণে অভিযুক্ত চাচা ইমন ফারুক বাদশা (২০) মহামায়া ইউনিয়নের উত্তর যশপুর গ্রামের উত্তর পাড়ার মৃত রবিউল হক কন্ট্রাক্ট্ররের ছেলে। এ ঘটনায় তাকে শুক্রবার বিকালে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন ভূঞা জানান, ওই শিশুটির বয়স তিন বছর সাত মাস হবে। সোমবার তার মা ইমনকে ভাত খেতে দিয়ে গোসল করতে যান। তখন একা পেয়ে ওই বাচ্চাটিকে চিপস খাওয়ানোর কথা বলে তার ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে ইমন। গতকাল বৃহস্পতিবার মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। গোপন সূত্রে বিষয়টি জানতে পেরে হাসপাতালে গিয়ে শিশুটির কাছ থেকে আমরা ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারি। পরে তাৎক্ষণিকভাবে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে শিশুটির শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকালে শিশুটির মা বাদী হয়ে ইমনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

ওসি জানান, অভিযুক্তকে গ্রেফতারে সারারাত অভিযান চালায় পুলিশ। আজকে সকালে তথ্য পাই ইমন সোনাগাজীতে অবস্থান করছে। এসময় তার নিকট আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে তাকে ডেকে আনার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সে ঘন ঘন অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকে। পরে শুক্রবার বিকালের দিকে খবর পাই, সে ছাগলনাইয়ার বাঁশপাড়ায় তার এক নিকট আত্মীয়ের বাসায় অবস্থান করছে। সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে আমরা গ্রেফতার করি।

তিনি জানান, আগামীকাল তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে। তার বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করবে পুলিশ।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে সোনাগাজীতে কিশোরী ভাতিজিকে ধর্ষণের অভিযোগে চাচা তমিজ উদ্দিন নয়ন (৫০) নয়নকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।