ফেনী সদর উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে চলতি আমন মৌসুমে নমুনা শস্য কর্তন করা হয়েছে। আজ রবিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে সদরের শর্শদী, কাজিরবাগ ও ফাজিলপুর ইউনিয়নে ১৫ একর জমির ব্রিধান-৫২ ও ব্রিধান-৪৯ জাতের ফসল কর্তন করা হয়।

এসময় সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ আহসান হাবীব, জেলা কৃষি প্রকৌশলী মোঃ আমজাদ হোসেন, উপসহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মতিউর রহমান, উপ সহকারী কৃষি অফিসার রফিক উদ্দিন আহম্মদ, লুৎফুল করিম মজুমদার, মোহাম্মদ আবু তৈয়বসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।

ফেনী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমীন আক্তার জানান, চলতি আমন মৌসুমে ফেনী সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে ১৫জন কৃষককে ১০টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। মোট ৫০ একর জমিতে উন্নতমানের ধান, গম ও পাট বীজ উৎপাদন সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের আওতায় ব্রি ধান-৫২ ও ব্রি ধান-৪৯ জাতের প্রদর্শনী করা হয়েছিল। প্রতি গ্রুপ ৫ একর জমিতে এ ধান চাষ করেছে।

সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আহসান হাবীব বলেন, আমরা প্রত্যেকটি কৃষক গ্রুপকে ক্ষুদ্র বীজ ব্যবসায়ী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছি। এর ফলে বীজ বিক্রি করে কৃষকরা যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে তেমনি দেশে উন্নত মানের ধানবীজের চাহিদার যোগান হবে।

সদর উপজেলা উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেন, প্রত্যেক গ্রুপের কৃষকদেরকে আধুনিক ধান বীজ উৎপাদন বিষয়ে মৌসুমব্যাপী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। কৃষি বিভাগ থেকে রাসায়নিক সার, বীজ, বালাইনাশকসহ আন্তঃপরিচর্যা বাবদ নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে। বীজ বিক্রয়ের জন্য প্যাকেট, সিলিং মেশিন এবং লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে।

গ্রুপের মোঃ ইউছুফ মীর নামে এক কৃষক বলেন, ফলন ভালো হয়েছে। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের বীজ উৎপাদন ও বিক্রেতা হিসেবে লাইসেন্স করে দেয়া হয়েছে। বীজ উৎপাদন করে ক্ষুদ্র বীজ ব্যবসায়ী হিসেবে আমরা আশা করি লাভবান হবো।