মঙ্গলবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় ছাগলনাইয়ায় জসিম উদ্দিন হাজারী (৩২) নামক এক যুবকের রহসয়জনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ছাগলনাইয়া থানা সূত্র জানায়, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছাগলনাইয়া পৌর শ্রমিক লীগের সভাপতি আলাউদ্দিনকে আটক করা হয়েছে।

নিহত যুবক ফেনী শহরের কদলগাজী রোডে কামাল হাজারী বাড়ীর মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। পেশায় রং মিস্ত্রী জসিম ছাগলনাইয়া পৌর এলাকার বাঁশপাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

ঘটনার বিবরণে প্রত্যক্ষদর্শী সিএনজি অটোরিক্সা চালক জোবায়ের হোসেন লিটন জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে সে অস্বাভাবিকভাবে ছাগলনাইয়া বাজারে এদিক ওদিক দৌড়াদৌড়ি করছিল। পরে ডায়মন্ড হোটেলে প্রবেশ করে সেখানকার কিছু আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এক পর্যায়ে সে রাস্তার একটি গাড়ীর গ্লাস ভাংচুর করে। পরে রাত ৯টায় বধুয়া কমিটি সেন্টারের সামনে থেকে স্থানীয় জনতা তাকে তার বাসায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পথে বাঁশপাড়া সরকারি প্রাথমিক স্কুলের পাশে নজরুলের দোকানের সামনে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক উপস্থিত মানুষজন জসিমকে ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাঃ জামিল আহমেদ ইসিজি করাতে পরামর্শ দিলে তাকে ছাগলনাইয়া তারেক মেমোরিয়াল ইব্রাহীম জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মাহমুদুন্নবী মোঃ মমতাজুল হক দৈনিক ফেনীকে জানান, জসিমকে ইসিজি করাতে যখন আনা হয়, তার শরীর ধুলোবালুতে মাখামাখি ছিল। তবে কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে বলেন জানান তিনি।

অন্যদিকে স্থানীয়রা জানান, জসিম মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে বলছিল, বাঁশপাড়ার আলাউদ্দিন তাকে মারধর করেছে। সোমবার রাতে জসিমের সাথে আলাউদ্দিনের কথা কাটাকাটি হয়েছিল বলেও জানায় স্থানীয় লোকজন।

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আলাউদ্দিন প্রকাশ জিন আলাউদ্দিনকে আটক করেছে বলে নিশ্চিত করেন ছাগলনাইয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবর রহমান।

ছাগলনাইয়া পৌর শ্রমিক লীগ সভাপতি আলাউদ্দিন বাঁশপাড়ার গোলাম শরীফের ছেলে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ছাগলনাইয়া সার্কেল) নিশান চাকমা জানান, এখনো পর্যন্ত এ মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করা যায় নি।

আলাউদ্দিনকে আটকের বিষয়ে তিনি বলেন, জিজ্ঞেসাবাদের জন্য তাকে আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাত ১১টায় ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ তার লাশ ফেনী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। দাম্পত্য জীবনে জসিম হাজারী এক কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন।