মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবসে শহীদ পরিবার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিয়েছে ফেনী জেলা প্রশাসন। এতে. তিন শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন।

শুক্রবার (২৬মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা সভা, শহীদ পরবার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্য ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা নিজের প্রাণের তোয়াক্কা না করে যুদ্ধ করেছিল বলে আজ এই দেশ স্বাধীন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা স্বাধীনতার ফল ভোগ করতে পারতাম না। তার ভাষণের মাধ্যমে বাঙালী যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু মানেই স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার খোন্দকার নূরুন্নবী বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের গর্ব, আমাদের চালিকাশক্তি। প্রধানমন্ত্রী সর্বদা মুক্তিযোদ্ধাদের খোঁজখবর নেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ গোলাম জাকারিয়ার সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. এসএসআর মাসুদ রানা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেনী জেলা জজ কোর্টের জিপি এডভোকেট প্রিয়রঞ্জন দত্ত, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা হোসেন ও আবদুল মোতালেব।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার এন.এম আবদুল্লাহ আল মামুন ও তমালিকা পালের যৌথ সঞ্চালনায় সভায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মাঈনুল ইসলাম, সভায় জেলা প্রশাসকের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জেলা পুলিশের কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সভার শুরুতে মুক্তিযোদ্ধাদের গোলাপের শুভেচ্ছা জানান জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

এর আগে সকালে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৫০বার তোপধ্বনির মাধ্যমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদ, ফেনী পৌরসভা, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন। দিবসটি উপলক্ষ্যে ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম স্টেডিয়ামে পুলিশ, আনসার, কারারক্ষী দল, ফায়ার সার্ভিস, বিএনসিসি ও স্কাউটের অংশগ্রহণে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।

দুপুরে জেলার সকল সরকারি হাসপাতাল, এতিমখানা, কারাগার, শিশু সদন, বৃদ্ধাশ্রম, ভবঘুরে প্রতিষ্ঠান ও শিশু ডে কেয়ার সেন্টারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। এছাড়া দেশ জাতির উন্নতি ও মঙ্গল কামনায় মসজিদ, মন্দিরসহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।

একইভাবে জেলার অন্যান্য উপজেলায়ও নানা কর্মসূচিতে দিনটি পালন করেছে প্রশাসন, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন। দিবসটি উপলক্ষ্যে জেলার সকল সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়। সন্ধ্যায় শহরের ট্রাংক রোডে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।