২৮ নভেম্বর ২০১৯ ।। নিজস্ব প্রতিবেদক ।।


আইসিটি মামলায় সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের ৮ বছরের কারাদন্ড দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে নুসরাতের পরিবার।


নুসরাতের মা শিরিন আখতার বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নুসরাত হত্যার ঘটনায় বিচারের যে আশ্বাস দিয়েছেন আজ তার প্রমাণ মিলেছে। আমি এ রায়ে সন্তুষ্ট। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রায় ঘোষণার পর এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।


তিনি বলেন, আমি প্রথমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই। সেই সাথে বিচার বিভাগকেও ধন্যবাদ জানাই এবং ধন্যবাদ জানাচ্ছি ব্যারিস্টার সুমনকেও। সেই সঙ্গে প্রত্যেক মিডিয়া কর্মীদেরও ধন্যবাদ জানাই। তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।


নুসরাতের মা বলেন, এ রায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে, আর কোনো পুলিশ কর্মকর্তা কোনো মেয়ের সঙ্গে এমন আচরণ করার সাহস পাবেন না। কোনো হত্যাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার সাহস আর কোনো পুলিশ কর্মকর্তা পাবেন না। এ রায়ের মাধ্যমে নুসরাতের বিদেহী আত্মাও শান্তি পাবে বলেও জানান তিনি।


নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এটি প্রমাণ করে অপরাধী যেই হোক তাকে ছাড় দেওয়া হয়নি। নুসরাতের ভাই নোমান এমন রায়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিচার বিভাগের সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানায়।


রায়ের প্রতিক্রিয়ায় মামলার বাদী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সাইদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ভুক্তভোগী নুসরাত জাহানের ভিডিও ছেড়ে দিয়ে সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম যে অপরাধ করেছিলেন, সেটি আজ আদালতের রায়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
নুসরাতের সহপাঠী ও সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বলছেন এ রায় ওসির জন্য সঠিক বিচার হয়েছে। নুসরাতকে যে অপমান তিনি করেছেন তার সঠিক বিচার এটি।


এর আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের মামলায় সোনাগাজী মডেল থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে ৮ বছরের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস শামছ জগলুল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার প্রথম রায় এটি।