সদর উপজেলার পূর্ব গোবিন্দপুর এলাকায় ফেনু মিয়া বাড়িতে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে লোহার খন্তা দিয়ে আঘাত করে এক নারীকে হত্যা চেষ্টা এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগ করা হয়েছে। আহত রেজিয়া বেগম (৫৫) বর্তমানে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।

গতকাল বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে আহতের ছেলে মোজাহেরুল হক (২৬) বাদী হয়ে ৬ জনের নামোউল্লেখ এবং অজ্ঞাত ৩ থেকে ৪ জনকে আসামী করে ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মোজাহেরুল হকদের বসতঘরের সামনে পূর্বের রান্না ঘরের জায়গায় পাকাকরণের মাধ্যমে নতুন ঘর নির্মাণের কাজ চলছে। এ অবস্থায় গতকাল (বুধবার) সকালে তার জেঠাতো ভাই উজ্জ্বল, পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এবং অজ্ঞাত আরও কয়েকজন মিলে দেশীয় অস্ত্র ও রড় খন্তা নিয়ে নির্মাধীন ঘরটি ভাংচুর করে। এ অবস্থায় আহত রেজিয়া বেগম বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করলে তাকে লোহা খন্তা দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা চেষ্টা করে।

মামলার বাদী মোজাহেরুল হক বলেন, সম্পত্তি নিয়ে সমস্যাটি আরও আগে সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে মীমাংসা করে হলেও তারা আবারও আমাদের ওপর হামলা করেছ। তিনি বলেন, ঘটনার সময় আমার মাকে বাঁচানোর জন্য আমি, বাবা, বোন ও ভাগনি এগিয়ে গেলে তারা আমাদের কিল ঘুষি, লাথি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে জখম করে।

আহত রেজিয়া বেগম বলেন, সম্পত্তি দখল করে নিতে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা হয়েছে। ওই সময় আমাকে তাদের হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টাকালে তারা আমার মেয়ে ও আমার শরীরে থাকা স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে। আমার পরিহিত কাপড়-চোপড় টানা হেছড়া করে শ্লীলতাহানি করে। এসময় আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে উপযুক্ত বিচার দাবি করেন তিনি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সেলিম দৈনিক ফেনীকে জানান, মোজাহেরুল হকদের পরিবার ছাড়া তার জেঠা এবং কাকা দীর্ঘসময় বাড়িতে ছিলোনা। এদের মধ্যে তার এক চাচা বহুবছর পাকিস্তান অবস্থান করছে। তিনি তার সম্পত্তিগুলো মোজাহেরুল হকদের ব্যবহারের জন্য বলেছে। কিন্তু বিষয়টি জেঠার পরিবার মানতে না পেরে বিরোধ করছে। এর আগেও এলাকায় সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে এ বিষয়ে দুই পরিবারের মধ্যে মীমাংসা করা হয়েছিলো। গতকাল তারা আবারও বিরোধের জেরে হামলা করে।

এ বিষয়ে জানতে প্রতিবেদক অভিযুক্ত পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলেও তারা কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।

ফেনী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মো. ময়নাল হোসেন দৈনিক ফেনীকে বলেন, এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ মামলার প্রধান আসামি রফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল (৪০) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।