ফুলগাজীতে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন জাসদ সমর্থিত ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) ভোটগ্রহণ করার ঘন্টা দুয়েকের মধ্যেই আমজাদহাটে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন মশাল প্রতীকের জাসদের প্রার্থী মো. সুরুজ্জামান। তার অভিযোগ, বহিরাগতরা ভোটকেন্দ্রের আশেপাশে অবস্থান নিয়ে কেন্দ্র দখলে রেখেছে। কেন্দ্রে থাকা তার এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। একই অভিযোগ করেছেন দরবারপুর ও জিএমহাট ইউনিয়নে জাসদ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।

দুপুরে দিকে আমজাদহাট ইউনিয়নের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন, ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরীন সুলতানা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌসি বেগম, প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এ সময় নির্বাচনে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

আমজাদহাটে ভোটগ্রহণ শুরুর দু ঘন্টার মধ্যেই টিকতে না পেরে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন মো. সুরুজ্জামান। তবে কেন্দ্রে কোন বহিরাগত নেই বলে দাবি করেছেন ওই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মীর হোসেন মীরু। তিনি জানান, কেন্দ্রে ভোটাররাই গেছেন বহিরাগত কেউ যায়নি। তবে ইতোমধ্যে প্রকাশ্যে অস্ত্রহাতে মীরুর মহড়ার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠে এসেছে।

দরবারপুরে জাসদের চেয়ারম্যান প্রার্থী দুলাল বৈদ্য বলেন, ভোটের আগের রাত থেকেই কেন্দ্রগুলোর আশেপাশের বাড়িতে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা অবস্থান নিয়েছে। আমার এজেন্টদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে দুলাল বৈদ্যের এ অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলছেন এ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ প্রার্থী নিজাম উদ্দিন মজুমদার। তিনি বলেন, সুষ্ঠভাবে ভোটগ্রহণ হচ্ছে।

জিএমহাট ইউনিয়নে জাসদ প্রার্থী আ স ম শাহ আলম জানান, ভোট কেন্দ্রগুলোতে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের উপস্থিতির কারণে ভোট গ্রহণ এক পাক্ষিক হয়ে গেছে। তবে আওয়ামীলীগ চেয়ারম্যান প্রার্থী জাকির হোসেন রতন নির্বাচন সুষ্ঠ ও অবাধে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। তিনি জানান, ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেন্দ্রে এসে ভোট দিচ্ছেন। বহিরাগত দিয়ে কেন্দ্র দখলের অভিযোগ বানোয়াট।