৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ।। নিজস্ব প্রতিবেদক ।।


ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেছেন, বাংলাদেশের শেষ ভরসা শেখ হাসিনা। তার কোন বিকল্প নেই। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসন আয়োজিত ফেনী মুক্ত দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। বাংলার সকল মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘৃণ্য ঘাতকরা তার সেই স্বপ্নকে থামিয়ে দিতে চেয়েছিল। দীর্ঘ ২১ বছর পর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তার স্বপ্ন পূরণের দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নেন।


ফেনীর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে সংসদ সদস্য বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের প্রাণপুরুষ। তারা সর্বোচ্চ সম্মানের দাবীদার। আপনারা একাত্তরে বঙ্গবন্ধুর যে দিকনির্দেশনা পেয়েছেন, তা কাজে লাগালে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে বেশিদিন লাগবে না। মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা প্রদর্শনে কেউ কার্পণ্য করবেন না। আমি ফেনী পৌরসভার মেয়র থাকাকালীন মুক্তিযোদ্ধাদের সকল কর শতভাগ মওকুফ করেছি। মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করেছি। মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রাখব।


নিজাম হাজারী বলেন, সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। আপনারা সকলে ওনার সহযাত্রী হিসেবে সহযোগিতা করুন। সকলের ঐক্যবদ্ধ অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমরা সোনার বাংলা গড়তে চাই। এদেশের মানুয় যাতে সুখে শান্তিতে থাকে তা নিশ্চিত করতে চাই।


এসময় জেলা প্রশাসনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আসল মুক্তিযোদ্ধারা যাতে অন্তর্ভূক্তি হতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। ভুয়া সার্টিফিকেটধারী মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করে তাদের তালিকা থেকে বাদ দেবেন।


উপস্থিত সকল মুক্তিযোদ্ধার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধার স্বপক্ষের শক্তিরা এগিয়ে এলে ফেনীকে আমরা সারাদেশে একটি মডেল জেলা হিসেবে দাঁড় করাতে পারব। ভালোবাসা, শ্রদ্ধা আর সম্মান নিয়ে শেখ হাসিনার সহযাত্রী হয়ে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে নিতে চাই।


নিজাম উদ্দিন হাজারীর বক্তব্য শেষ হলে একজন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ আবু ইউছুপ জেলার সকল ইউনিয়নে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কর মওকুফের দাবী জানান। নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপি তাৎক্ষণিক ফেনীর সকল উপজেলায় ও ইউনিয়নে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য শতভাগ কর মওকুফ করার ঘোষণা দেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মানে অভিষ্ট করার জন্য তিনি উপজেলা ও ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন।