ছাগলনাইয়া বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করার দায়ে মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম ফরহাদ (৩০) নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছে আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আজ মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ ওসমান হায়দায় এ রায় ঘোষণা করেন। এসময় আসামী মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম ফরহাদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। কামরুল ইসলাম ছাগলনাইয়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড পূর্ব বাশঁপাড়া আল নুর হাসপাতালেরর পাশে মজুমদার বাড়ীর মোঃ ইব্রাহিমের ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি হাফেজ আহম্মদ।তিনি বলেন, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। এ মামলায় ৯জন সাক্ষীর মধ্যে ৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়েছেন।
মামলার নথিপত্র অনুযায়ী, ছাগলনাইয়ার উত্তর সতর গ্রামের এক তরুণীর সাথে ৩ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম ফরহাদের। ২০১৬ সালে ২২ আগস্ট সন্ধ্যার দিকে ছাগলনাইয়া দক্ষিন যশপুর জনৈক নুর আলম ভূইয়ার নির্মানধীন ভবনের ছাদে নিয়ে বিয়ে করার কথা বলে ফরহাদ ওই তরুণীকে রাতভর জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরের দিন ভোর ৫টার দিকে বিয়ে করবে বলে ফরহাদ সিএনজি গাড়ীতে করে ওই তরুণীকে নিয়ে মির্জা বাজার এসে তাকে বিয়ে করবে না বলে গাড়ি থেকে নেমে যায়। পরে ২০১৬ সালে ২৩ আগস্ট কামরুল ইসলামকে আসামী করে ছাগলনাইয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই গোলাম মুর্শিদ সরকার ২০১৬ সালে ২৪ আগস্ট মোহাম্মদ কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে। পরে সে জামিনে মুক্তি পায়। ২০১৬ সালের ২৬ অক্টোবর মোহাম্মদ কামরুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা। আদালত ২০১৭ সালে চার্জ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।