বৃষ্টির ছাঁট আর রাস্তায় পানি ভেঙ্গে বিদ্যুৎ অফিসের সামনে যেয়েও মিনিট দশেক সময় অবস্থান নিতে পারেনি বিএনপি। পুলিশের লাঠির ধার টের পেয়ে পিঠটান দিতে দেখা গেছে দলের নেতাকর্মীদের। বুধবার (৮ জুন) সকাল ১১ টায় শহরের শহীদ শহিদুল্লাহ কায়সার সড়কে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ফেনী অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে লোডশেডিং এবং বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতির প্রতিবাদ জানাতে চেয়েছিল দলটি। তবে পুলিশি বাঁধার মুখে অবস্থানের চেয়ে নিজের পিঠ বাঁচাতে ব্যস্ত ছিল বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।

যদিও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল অবস্থান কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে বলে দাবি করেন। তবে আলালের অভিযোগ, অবস্থান নিতে গিয়ে সেখানে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের অতর্কিতভাবে লাঠিচার্জ শুরু করে। বিএনপির নেতাদের দাবি, এতে জেলা যুবদলের সভাপতি জাকের হোসেন জসিম, জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দিন খোকন চেয়ারম্যান, ফেনী পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক শরিফুল ইসলাম রানা, পাঁচগাছিয়া ইউনিয়ন যুবদল কর্মী গিয়াস উদ্দিন ও আবুল কালামসহ আরও বেশ কয়েকজন আঘাত পেয়েছে।

জেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ ফরিদ বাহার বলেন, গণমানুষের দাবিকে পুলিশ দিয়ে কিছুতেই সরকার থামাতে পারবে না। 

কর্মসূচিতে যুগ্ম-আহবায়ক গাজী হাবিব উল্যাহ মানিক, এয়াকুব নবীসহ দলের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

বিএনপির কর্মসূচিকে ঘিরে সকাল থেকে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড অফিসের সামনে সতর্কভাবে পুলিশ ছিল পাহারায়। বিদ্যুৎ অফিসের প্রধান ফটকসহ ভেতরে ভবনের সামনে তাদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন জানান, অপ্রীতিকর ঘটনা সামলাতে সেখানে আগে থেকেই পুলিশ পাঠানো হয়েছিল।

বিদ্যুতের বর্তমান ঘাটতির তথ্য তুলে ধরে ফেনী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আ.স.ম. রেজাউন নবী জানান, আজকে চাহিদার ৪৪ মেগাওয়াটের বিপরীতে ২৮-২৯ মেগাওয়াট পাওয়া যাচ্ছে। তবে দিনের চেয়ে রাতের ৩০ মেগাওয়াটের মত বেশি সরবরাহ করা যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।