ফেনী পৌরসভার নাগকিরদের সুবিধার্থে রাতের বেলা সড়ক বাতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে পৌর ১৮টি ওয়ার্ডে। তবে মিটার ছাড়াই অনুমানে এসব বাতির ব্যবহৃত বিদ্যুতের বিল করে থাকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। মিটার লাগালে সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যায়, তাই এভাবে বিল করা হয়ে থাকে বলছে বিপিডিবি কর্তৃপক্ষ।
ফেনী পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে মিটার রিডিং ছাড়াই অনুমান নির্ভর বিদ্যুৎ বিল করা হচ্ছে। তবে পৌরসভার সড়ক বিভাজকে ব্যবহৃত ৪০০ লাইটের বিল করা হয়ে থাকে ৫টি মিটারের মাধ্যমে। ডিজিটাল যুগে অনুমান নির্ভর বিলের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে পৌর নাগরিকদের।
এর কারণ জানতে চাইলে ফেনী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হোসেন মাহমুদ শামীম ফরহাদ দৈনিক ফেনীকে বলেন, সংরক্ষণের অভাবে মিটার লাগালে নষ্ট হয়ে যায়। তাই পৌর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিদ্যুৎ বিল করা হয়। সড়কে একটি লাইট কতটুকু জ্বলে তার পরিমাণ হিসেব করে বিল তৈরি হয়।
এ ব্যাপারে ফেনী পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হিরণ বলেন, বর্তমানে ফেনী পৌরসভার ১৮ ওয়ার্ডের বিভিন্ন সড়ক আলোকিত করতে ৩ হাজার ৪০০টি টিউব ও এনার্জি লাইট ব্যবহার করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডসহ যৌথভাবে সার্ভে করে মাসিক বিল তৈরি করা হয়ে থাকে। অনুমান নির্ভর বিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্ট্রিট লাইন না হওয়ায় এভাবে বিল করা হচ্ছে। অনেক সময় অতিরিক্ত বিল হলে বিপিডিবির সাথে আলোচনা করে বিল নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে পৌরসভার ৬০ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে।
পৌরসভা হতে প্রাপ্ত ২০১৬ সালের হিসাবমতে, ফেনী পৌর এলাকায় ২ হাজার ৩৬৬টি টিউব ও এনার্জি লাইট ব্যবহার করা হত। ওই বছর বিল করা হয়েছিলো ৬০ লাখ ৩৮ হাজার ৪৭৭ টাকা। ২০১৮ সালে দ্বিগুণ বাড়িয়ে ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল পাঠায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।
বিপিডিবির ফেনী অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে ৯ লাখ ২৯ হাজার ৬৬৮ টাকা, ২০১২ সালে ১০ লাখ ১১ হাজার ৮৫৮ টাকা, ২০১৩ সালে ২৪ লাখ ৩০ হাজার ৯৩ টাকা, ২০১৪ সালে ৪২ লাখ ৩১ হাজার ৪১৮ টাকা, ২০১৫ সালে ৫৭ লাখ ৪ হাজার ৫৭৬ টাকা বিদ্যুৎ বিল পাঠানো হয়েছে।