অনিয়ম-দুর্নীতি, নারী কেলেঙ্কারি ও স্বজনপ্রীতিসহ নানা অভিযোগে আলোচিত ফেনী আলীয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদুল হাসানের পদত্যাগের  দাবিতে পক্ষে-বিপক্ষে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।

সোমবার ( ৩০ সেপ্টেম্বর) দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে মাদারাসায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২ জনকে পুলিশ আটক করেছে। অভিযোগ রয়েছে একটি পক্ষের নেতৃত্ব দেন অধ্যক্ষ মাহমুদুল হাসানের ছেলে জুনাইদ আল হাসান।

বিক্ষোভকারীরা বলছেন, বিতর্কিত অধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদুল হাসান ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের দিয়ে মাদ্রাসা ভবনে শিক্ষার্থীদের উপরে ছুরি, রড ও লাঠি দিয়ে অতর্কিত হামলা করেছে। এতে ফাজিল ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী তানভির আহমেদ রুপম, আলিম ফলপ্রার্থী মো. সাঈদ, আবদুল্লাহ আল নোমান, সামিরসহ আরও ৮ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।

মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বলেন, পদত্যাগের দাবীতে আন্দোলন কর্মসূচীর খবর পেয়ে কিছু শার্ট প্যান্ট পরিহিত ছেলে মাদ্রাসায় অবস্থান নেয়। আন্দোলন শুরু হলে বিতর্কিত অধ্যক্ষের ভাড়া করা ২০-৩০ জন সন্ত্রাসী ছাত্রদেরকে এলোপাথাড়ি তাদের মারতে থাকে।  এতে আমাদের সহপাঠীরা আহত হয়।

আহত তানভীর আহমেদ রুপম জানান, মাহমুদুল হাসানের নির্দেশনায় তার ছেলে মাদরাসার শিক্ষক জুনাইদ আল মাহমুদের উপস্থিতিতে ৬০-৭০ জন শিক্ষার্থী চোরা ও লাঠি নিয়ে সাধারণ ছাত্রদের উপর হামলা চালায়। এতে আহতদের মধ্যে অন্তত ১০ জন ছাত্র প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।

তবে অভিযোগ বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষের ছেলে জুনাইদ আল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সাড়া মেলেনি।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হাসান। তিনি বলেন, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত চলছে। আমরা উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ মারমা জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সিয়াম ও ইসমাইল হোসেন জয় নামে দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।