সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের সকল দূর্নীতিবাজ সরকারের নজরদারিতে আছে। শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে ফেনী সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে তিনি এ কথা বলেন।


ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই রাষ্ট্রনায়ক, যিনি শুদ্ধি অভিযান করতে গিয়ে নিজের দলের লোকজনকে দিয়েই অভিযান শুরু করেছেন। তিনি বলেন, দুর্নীতি মাদক টেন্ডারবাজিসহ যারা অপরাধ করছে তাদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। সুনর্দিষ্ট প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা।


দূর্নীতি মামলায় এক এমপির সাজা ও একাধিক জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে চলমান মামলার উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, স্বাধীন বিচার ব্যবস্থায় সরকার হস্তক্ষেপ করে না। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি নুসরাত হত্যার রায়ের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, এ হত্যা মামলায় আসামীদের মধ্যে একজন আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন। তাকেও অপরাধের দায়ে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়েছে। এতে প্রমাণ হয় আওয়ামী লীগে অপরাধীর কোন ছাড় নেই।


খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকে পুঁজি করে বিএনপি দূরভিসন্ধি করছে। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে দলের নেতা ও স্বজনরা যে চিত্র তুলে ধরেন, চিকিৎসকদের অবজারভেশনের সাথে মিল নেই। তারা খালেদার শারীরিক অবস্থা নিয়ে যতটা উদ্বিগ্ন, তার চেয়ে এ অসুস্থতা নিয়ে আন্দোলনের ইস্যু করতে চায়।


এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, ফেনী ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, ফেনী-২ আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী, জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরন্নবী, সড়ক ও জনপদ বিভাগের কুমিল্লা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী একেএম মনির হোসেন পাঠান, নোয়াখালী সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবদুর রহিম, অতিরিক্ত জেলা প্রাশাসক (সার্বিক) সুমনী আক্তার, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুর রহমান বিকম, ফেনী পৌরসভার মেয়র হাজী আলাউদ্দিন, প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী প্রমুখ।


উল্লেখ্য, শনিবার বিকাল ৩টায় জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।