৬ জানুয়ারী ২০২০ ।। নিজস্ব প্রতিবেদক ।।


ফেনী জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুজজামান বলেছেন, ভিটামিন ‘এ’ শিশুর রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শিশুর মৃত্যু ঝুঁকি কমায়। ফেনী পৌর এলাকার কোন শিশু যেন ভিটামিন এ থেকে বঞ্চিত না হয় সে ব্যাপারে জনপ্রতিনিধিদের সচেতন থাকতে হবে। পৌরসভার ১৮টি ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধিদের নিজ নিজ এলাকায় প্রচার-প্রচারণা করে শিশুদের টিকাদান কেন্দ্রে আনতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।


আজ সোমবার (৬ জানুয়ারী) দুপুর ১২ টার দিকে পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন পালন উপলক্ষ্যে ফেনী পৌরসভার অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


এসময় জেলা প্রশাসক উপস্থিত পৌর কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে বলেন, সরকার নানামুখী উদ্যোগের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সুরক্ষার কর্মসূচি হাতে নিয়ে থাকে। আমাদের উচিত এ সমস্ত সেবা জনগণের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়া।

ফেনী পৌরসভার মেয়র হাজী আলাউদ্দিন এর সভাপতিত্বে ও প্যানেল মেয়র আশরাফুল আলম গীটারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন মোঃ নিয়াতুজজামান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক পিকেএম এনামুল করিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সুজন চৌধুরী। এসময় পৌরসভার কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।


সভায় সিভিল সার্জন মোঃ নিয়াতুজ্জামান বলেন, ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল সরকার সকল পরীক্ষা নিরীক্ষা করার মাধ্যমে জনগণের শিশুদের খাওয়ার জন্য অনুমোদন দিয়ে থাকেন। সুতরাং কোন প্রকার বিভ্রান্ত হওয়ার সুযোগ নেই। কোন প্রকার গুজবে কান না দিয়ে ৬ মাস থেকে ৫ বছর শিশুদের এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়াবেন। এ ক্যাপসুল খেয়ে কোন শিশু অসুস্থ হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।


পৌর মেয়র হাজী আলাউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ফেনী পৌরসভার উপর অর্পিত সকল দায়িত্ব আমরা যথাযথভাবে পালন করে আসছি। ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন বাস্তবায়নে ফেনী পৌরসভা সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।


পৌরসভার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ কৃষ্ণপদ সাহা জানান, এ বছর ফেনী পৌরসভার ৫৪টি কেন্দ্রে ৬ মাস থেকে ১১ মাসের শিশুদের ৩ হাজার ৮ শ, ১ বছর থেকে ৫ বছরের শিশুদের ১৯ হাজারসহ মোট ২৩ হাজার ৪শ ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

সভায় গণমাধ্যমকর্মীসহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।


উল্লেখ্য, সারাদেশে আগামী ১১ জানুয়ারী শনিবার জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পালন করা হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী সব শিশুকে নিকটস্থ টিকাদান কেন্দ্রে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।