১০ জানুয়ারি ২০২০ ।। নিজস্ব প্রতিবেদক।।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাম্পেইন’র ১ম পর্ব শেষ হয়েছে। আজ শনিবার (১১ জানুয়ারি) জেলার ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী ২ লাখ ৪০ হাজার ৫শ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর মাধ্যমে ক্যাম্পেইনের প্রথম পর্ব শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডাঃ নিয়াতুজজামান।


তিনি জানান, জেলাব্যাপী সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ১ হাজার ১শ ৫টি অস্থায়ী ও ৩০টি ভ্রাম্যমান কেন্দ্রে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের ১টি নীল রঙের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ১টি লাল রঙের উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।


তিনি আরও জানান, ক্যাম্পেইনটি সফলভাবে সম্পন্ন করতে জেলার ছয়টি উপজেলায় ও পৌরসভায় ২হাজার ২শ ৭০ জন টিকাদান কর্মী, ১শ ৯৪ জন এফডব্লিও কর্মী, ৭ জন স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ১শ ২৫জন স্বাস্থ্য সহকারী, ৪০ জন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক এবং দুই হাজার ২শ ৭০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত ছিলেন। ক্যাম্পেইনে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর পাশাপাশি শিশুদের পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়ানোর বিষয়েও প্রচারণা চালানো হয়েছে।


ডাঃ নিয়াতুজ্জামান বলেন, ভিটামিন ‘এ’ দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। এই কারণে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য নীতিমালা অনুযায়ী, ভিটামিন ‘এ’ এর অভাব পূরণে বছরে দুইবার সম্পূরক খাদ্য হিসেবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। অপুষ্টিজনিত অন্ধত্বের হার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনাই ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের অন্যতম লক্ষ্য।