১৫ জানুয়ারি ।। মোঃ সাহাব উদ্দিন।।


২০১৯-২০ অর্থবছরে ফেনীতে ৩৮৫ মেট্রিক টন আমন বীজ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) ফেনী কেন্দ্র।


বিএডিসি’র ফেনী'র উপ-পরিচালক (বীজ উৎপাদন) সৈয়দ সারোয়ার জাহান জানান, চলতি বছর আমন বীজ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা বেড়েছে। এ বছরের জানুয়ারির মধ্যেই বীজ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অজর্ন করা যাবে। গত বছর সংগ্রহ করা হয়েছিল ৩৫২ মেট্রিক টন বীজ।


উপ-পরিচালক জানান, বীজ সংগ্রহের জন্য বিএডিসির দুটি ইউনিটের (ফেনী ও চৌদ্দগ্রাম) আওতায় ফুলগাজী, পরশুরাম, ফেনী সদর, চৌদ্দগ্রাম ও সেনবাগকে ৫টি ব্লকে ভাগ করা হয়। এসব ব্লকের ২,৫০২.৫৩ একর অনুমোদিত জমিকে ১২৭ স্কীমে ভাগ করে বছরে তিন ধাপে বোরো, আমন, আউশ ধানের বীজ সংগ্রহ করে থাকে বিএডিসি। চলতি ডিসেম্বর-জানুয়ারী মাস জুড়ে ৩৬টি অনুমোদিত স্কীমে তিন জাতের আমন ধান বীজ সংগ্রহ করা হচ্ছে।


বিএডিসি ফেনী’র সহকারী পরিচালক প্রনবানন্দ ভৌমিক বলেন, আমাদের ৫৬১জন স্কীমভুক্ত চাষী রয়েছেন। স্কীমভুক্ত চাষীদের আগ্রহের উপর নির্ভর করে চাষীদের ভিত্তি বীজ প্রদান করে বিএডিসি’র বিপনন শাখা। আমরা কৃষকদের পরামর্শ ও নিয়মিত তদারকির মাধ্যমে উন্নত বীজ উৎপাদনে সহায়তা করে থাকি।


তিনি বলেন, স্কীমভুক্ত চাষীদের উৎপাদিত বীজ পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে উন্নত ও ভালো বীজ বাছাই করে সরকার ঘোষিত মূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে (বি আর-১১,বি আর-২২,ব্রিধান- ৪৯) তিন জাতের ধান বীজ সংগ্রহ চলছে।


তিনি আরও বলেন, সংগ্রহকৃত বীজ বিএডিসির ফেনী কেন্দ্রের গোডাউনে সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে পরবর্তী বছর বিতরণের জন্য মজুদ করা হয়। সংরক্ষণ সময়কালে প্রতি ১৫ দিনে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সংরক্ষিত বীজের মান ঠিক রাখা হয়।


সহকারি পরিচালক জানান, কৃষি খাতে উন্নত বীজ উৎপাদন ও সরবরাহের লক্ষ্যে সরকার প্রান্তিক কৃষকদের প্রশিক্ষণ নিয়মিত পরামর্শ প্রদান করে থাকে। চুক্তিবদ্ধ কৃষক কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের দিক নির্দেশনা মেনে মাঠে বীজ রোপন, বীজ উৎপাদন করে থাকে। তিনি আরও জানান, উৎপাদন পরবর্তীতে বিএডিসি কৃষকের কাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করে থাকে। সংগ্রহকৃত বীজ সরকার ন্যায্য মূল্যে কৃষকের কাছে পরবর্তী বছর ভিত্তি বীজ হিসেবে সরবরাহ করা হয়।