১৬ জানুয়ারি ২০২০ ।। নিজস্ব প্রতিবেদক ।।


ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সড়ক দুর্ঘটনায় বারইয়ারহাট ডিগ্রি কলেজের দুইজন ছাত্র নিহত ও একজন আহত হয়েছে। আজ (১৬ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার দুপুরে বারইয়ারহাট ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বারইয়ারহাট ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থীরাসহ স্থানীয় জনতা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে ১ ঘন্টা বিক্ষোভ করেছে।


স্থানীয়রা জানায়, মহাসড়কের ওই স্থানে তিনজন ছাত্র একসাথে রাস্তা পার হচ্ছিল। এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা ফেনী-মহিপাল রুটে আনন্দ সুপার সার্ভিসের একটি বাস ( ফেনী-জ-০৫-০১১০) তাদের সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে বারইয়ারহাট ডিগ্রী কলেজ এর উচ্চ মাধ্যমিক ১ম বর্ষের ছাত্র মোঃ সায়েদ মারা যায়। তার গ্রামের বাড়ি করেরহাটের পশ্চিম জোয়ার। এসময় আশংকাজনক অবস্থায় আরো ২ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেকজন এর মৃত্যু ঘটে। তার পরিচয় এখনও জানা জায়নি। বাকি একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।


ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় বারইয়ারহাট ডিগ্রী কলেজ এর শিক্ষার্থীরাসহ স্থানীয় সাধারণ জনগণ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে প্রায় ১ ঘন্টা বিক্ষোভ করে। এর ফলে গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়কে গাড়ির দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। পরে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। এসময় তারা আনন্দ সুপারের বাসটি ভাংচুর ও আগুন ধরিয়ে দিতে চাইলে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে তা রক্ষা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা সড়কের পাশে অবস্থান নিয়ে নিরাপদ সড়কের দাবীতে আন্দোলন করছে এবং গাড়িচালক এর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে। পুলিশ বাসটি আটক করেছে।

স্থানীয় বারইয়ারহাট কলেজ এর ২য় বর্ষের ছাত্র রিয়াদ জানায়, আমাদের সহপাঠীর মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। আমরা এই সড়ক দুর্ঘটনায় জড়িত বাস চালক এর ফাঁসি চাই৷

ঘটনার পর থেকে ফেনী-মহিপাল রুটে আনন্দ বাস সুপার সার্ভিসের চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বিস্তারিত আসছে