গোলাপ হয়ে ফুটে শৈত্য উঠোনে

সে আড়াআড়ি গোলাপ হয়ে দাঁড়ায়
বিষকাঁটা গায়ে আপ্তচোখ সামনাসামনি হয়ে,
উঠোন কোণে লালের প্রলেপে রাঙা হাসি ফুটে
কি শোভা, কি মায়া রূপ-ভেবে পায় না মায়াবী চোখ!

পাপড়ি ঘেরা ফুলপাতার ইচ্ছেরা পড়ে ধাঁধায়
ঘা খাওয়া মনময়দানে দোল দেয় হু হু বাতাস
নীরহ জীবন ভাবে অলংকার পড়ে আছে এত কাছে
গৃহত্যাগী সাহসে খুঁটি গেড়ে দাঁড়ায় অবান্তর শৈত্য উঠোনে।

 



বাবা

বাবা ভালাবাসামিশ্রিত এক ভরসার নাম
জীবনযুদ্ধে লড়ে যাওয়া আমরণপ্রাণ
পরিবার পরিজন আগলে রাখে অবিরত
সংগ্রামীযুদ্ধে একা নির্ভাবনার মতো ভাসমান।

নিজেকে চেনেনা বাবা তুচ্ছ অতি
খেটে যায় সবার মুখে ফোঁটাতে প্রীতি
স্নেহের সন্তান দুধ ভাতে গড়ে যায় নিখিল ধরায়
মানুষের মতো মানুষ করতে নিজেকে লুকায়।

শ্রমে ঘামে ভেজা ভার একা বয়ে যায়...
প্রিয় কারো দুখে বাবার আকাশ মেঘে চেয়ে যায়।

বাবার বাগানে ছায়া মেলে-নিশীথে সুখের বৃষ্টি ঝরে
যার আদর মোড়ানো বুকে ভালবাসা ছাড়া কিছু নাই।

 


ধর্ষণের অস্ত্র

তোমাকে বললাম একজন পুরুষের ছবি আঁকতে
তুমি আঁকলে শৌর্য বীর্যে বড় ধর্ষকের ছবি;
সাথে জুড়ে দিলে পুরুষাঙ্গের আকার আকৃতি,
তারপর শিরোনাম দিলে-নারী সম্ভোগের অঙ্গগুলো
ছবিটির চিত্রকল্পের মর্মার্থ লিখে দিতে বলা হলো !
তুমি লিখলে পুরুষের এ এক অস্ত্রের বাহাদুরি
কি আছে আর বিশেষ অঙ্গ বাদে অনিষ্ট অহংকার।

 


কবি

কবির মুখে অকথ্য কথা বেমানান
কবি বট বৃক্ষসম, ছায়া দেবে, ছাড় দেবে
দেখেও না দেখে কাটিয়ে দেবে নীরবে জনম।

কবির মুখে তালা ঝুলানো গায়ে সহিষ্ণুতার জামা
কে জানেনা? কবির ভাষা— অসঙ্গতির অন্তরালে;
কবি নিঃসঙ্গতার হৃদয়তটে অশ্রুজলে ডুবে ভাসে।

কবি নিপীড়িত জাত মনের ম্যানিফিস্টো পাহাড়ের মতো স্থির
সমাজের প্রচলিত রোগ,রাগ অনুরাগ কবির সাথে যায় না
কবির চোখে জলোচ্ছ্বাস, অস্থিরতা জোয়ার দেখা হয় না
কবি রক্ত মাংসে নয়—ইস্পাত তাইতো উচ্ছ্বাসও মানায় না।


মূর্খ

আমার আত্মা আমায় প্রশ্ন করে
কি করে ভাবো
স্রষ্টা ছাড়া কীভাবে সৃষ্টি হল;
শরীরের অঙ্গগুলো
কীভাবে ফেরেস্তা ফুঁ দিয়ে রুহ দিলো
কোন মায়ায় মা-দশমাস পেটে নিলো

বল, ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরে বাবার কাঁধে ভার কেন!
মূর্খ, এতসব দেখে বোঝ শোন তারপরও জবাব খোঁজো।