আলোচিত নুসরাত হত্যা মামলা রায়ে ১৬ দন্ডপ্রাপ্ত আসামীর মৃত্যু পরোয়ানা নিয়ে হাইকোর্টের আপিল বিভাগে পৌঁছে দিতে ঢাকার পথে রওনা হয়েছে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের একটি প্রতিনিধি দল।

এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হাফেজ আহাম্মদ জানান, মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপর দেড়টায় ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্টেনোগ্রাফার মো: শামছুদ্দিন আসামীদের মৃত্যু পরোয়ানা নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
স্টেনোগ্রাফার শামছুদ্দিন জানান, নুসরাত হত্যা মামলার ২১১ পৃষ্ঠার রায়সহ ২৩২৭ পাতার নথি হাইকোর্টের আপিল বিভাগে জমা দিবেন। ঢাকা অভিমুখে যাত্রায় তিনি অফিস গাড়ি ব্যবহার করছেন এবং দুই সদস্যের পুলিশ টিম সাথে রয়েছে, তিনি আরও জানান।


উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষা কেন্দ্রে গেলে নুসরাতকে ছাদে ডেকে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটে। ৮ এপ্রিল তার ভাই মাহসমুদুল হাসান নোমান আট জনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে। ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুসরাতের মৃত্যু হয়।
এ মামলা পুলিশ হতে ১০ এপ্রিল পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে হস্তান্তর করা হয়। ১৬ জনকে আসামী করে ২৯ মে পিবিআই আদালতে ৮শ পৃষ্ঠার চার্জশীট দাখিল করে। আদালত ২৭ জুন হতে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মোট ৬১ কার্যদিবসে ৮৭জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণের পর ৩০ সেপ্টেম্বর রায়ের তারিখ ঘোষণা করে।
২৪ অক্টোবর অভিযুক্ত ১৬ জনের সবাইকে ফাঁসির আদেশ দেয় আদালত। ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৪(১)/৩০ ধারায় এ রায় প্রদান করেন।