দাগনভূঁঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আগত কোনো মা সন্তানকে বুকের দুধ পান করাতে যাতে বিড়ম্বনায় না পড়েন সেজন্য ব্রেস্ট ফিডিং কর্ণার (মাতৃদুগ্ধ পানকক্ষ) স্থাপন করেছে সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহায়। একই সাথে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আগত রোগী ও স্বজনদের জন্য বিশুদ্ধ পানি পানের জন্য ২টি ফিল্টার স্থাপন করেছে সংগঠনটি।


মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির এর উদ্বোধন করেন।


এসময় জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. আবদুল মোমেন, দাগনভূঁঞা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রুবায়েত বিন করিম, জেলা সদর হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, জেলা স্বাস্থ্য তত্বাবধায়ক মো. দিদারুল আলম ভূঁঞা, সহায়’র সভাপতি মনজিলা মিমি, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ দুলাল তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।


সংগঠনটির সভাপতি মনজিলা মিমি বলেন, আমাদের সমাজে মায়েদের বাচ্চাদের ব্রেস্ট ফিডিং করানোর জন্য নির্দিষ্ট কোন জায়গা থাকে না। শুধু হাসপাতালগুলোতে নয়, শপিং মলগুলোতেও নির্দিষ্ট কোন জায়গা নেই। হাসপাতালে আগত মায়েরা, বিশেষ করে আউটডোরে মায়েরা বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে পারে না, অনেক সময় চিকিৎসা না নিয়েই তাদের চলে যেতে হয়। তাই দাগনভূঞা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রুবায়েত বিন করিমের অনুরোধে বাচ্চাদের নিরাপদে ব্রেস্ট ফিডিং করানোর জন্য সহায় এ কর্ণারটি স্থাপন করেছে।


সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দুলাল তালুকদার বলেন, হাসপাতালে আগত মা লোকজনদের সামনে বাচ্চাদের দুধ পান করাতে বিব্রতবোধ করেন। ব্যাপারটি উপলব্ধি করে মায়েদের সুবিধার জন্য আমরা নিজস্ব অর্থায়নে দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পপ্লেক্সে ব্রেস্ট ফিডিং কর্ণার স্থাপনের উদ্যোগ নেই। এজন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের একটি কক্ষ বরাদ্দ দেয়। একইসাথে হাসপাতালে আগত রোগী ও দর্শনার্থীদের জন্য বিশুদ্ধ পানি পানের ব্যবস্থা করে দিতে ফিল্টার বসিয়েছি।


সংগঠনের ভবিষ্যত পরিকল্পনা প্রসঙ্গে দুলাল তালুকদার বলেন, পর্যায়ক্রমে ফেনীর সকল উপজেলায় ব্রেস্ট ফিডিং স্থাপনের পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।