ভাষা শহীদ সালাম স্টেডিয়াম যেন ফ্রেন্ডশীপ ক্রিকেট ক্লাবের মিলনমেলা। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে মার্কেন্টাইল ব্যাংক ফেনী প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লীগ- ২০১৯-২০ এর ফাইনাল ম্যাচ। স্কয়ার স্পোর্টিং ক্লাবকে হারিয়ে চতুর্থবারের মত লীগ চ্যাম্পিয়ন হলো ফ্রেন্ডশীপ।


শিরোপা জয়ের আনন্দ দেখা গেছে ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হতে ক্লাব ক্যাম্পের ক্ষুদে খেলোয়াড়ের চোখেমুখে। স্বমহিমায় টিকে থাকা ফেনীর অন্যতম প্রবীন এ ক্লাবের প্রায় চার শতাধিক সদস্য মাঠে অবস্থান নেয় নিজ দলের ফাইনাল ম্যাচ ঘিরে। সকাল ৮টা হতে দর্শক গ্যালারী কোলাহলপূর্ণ হতে থাকে। বাঁশি, ভুভুজেলার শব্দের তালে হাততালি যোগ হয়ে বাড়তি আকর্ষণ ছিল দর্শকপূর্ণ গ্যালারির জন্য।


তিন দশকে এ ক্লাবের সদস্য সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার। প্রতিষ্ঠাতাদের বয়স পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই। মাঠে তাদের দেখা গেছে আনন্দে উদ্বেল হতে। নবীনরা নেচে গেয়ে মাঠ মাতিয়েছে খেলার পুরো সময় ধরে।


ফ্রেন্ডশীপের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপুর স্কুল এন্ড কলেজের সহকারি অধ্যাপক মোস্তফা জামাল বলেন, একটি স্বপ্ন ছিল ক্রিকেট নিয়ে; মাঠজুড়ে থাকবে খেলোয়াড়, উৎসবের আমেজ থাকবে ক্রীড়াঙ্গনে। দীর্ঘ ৩৩ বছরে ক্লাবের মসৃণ পথচলায় আমরা সফল।


ক্লাব সভাপতি ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার ক্রিকেট উপ-কমিটির চেয়ারম্যান রাজীব চৌধুরী বলেন, তরুণ প্রজন্মের চাহিদা হলো একটি প্রাণবন্ত ক্রীড়া পরিবেশ। আমরা তা দেয়ার চেষ্টা করছি। আজকের মাঠে আমাদের সকলের যে মিলনমেলা তা শুধু ক্রিকেটের টানে। ফেনীর ক্রীড়াঙ্গনের জন্য আমরা এমন কিছু করতে চাই যা অন্য সবাইকে অনুপ্রেরণা যোগাবে।


ফেনীর ক্রিকেটে একসময়ের দাপুটে অলরাউন্ডার ও ক্লাবের সিনিয়র সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, চ্যাম্পিয়ন হওয়া অনেক আনন্দের, তবে ফাইনাল খেলাটা অনেক উপভোগ্য। এক একটা ট্রফি আমার কাছে পরিবারে নতুন সদস্য আগমনের মত। কারণ ফ্রেন্ডশীপ ক্রিকেট ক্লাবকে, আমি পরিবার মনে করি।


ফ্রেন্ডশীপ ক্রিকেট ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম অপু বলেন, ফেনী ক্রিকেটের একটি ইতিহাস রয়েছে। এ ইতিহাসের সাথে অনেকগুলো ক্লাব জড়িত। আমি মনে করি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি এসেছে ফেনীর ক্রিকেটের যথার্থ স্থানে। কারণ ফ্রেন্ডশীপ হতে বেরিয়ে এসেছে জাতীয় দলের মেধাবী অলরাউন্ডার সাইফুদ্দিন।