করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে ফেনীর পরশুরামের বিলোনিয়া স্থলবন্দরে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশকারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার থেকে স্থলবন্দরের শুল্ক স্টেশনের একটি কক্ষে এ ভাইরাস সনাক্তে একটি স্বাস্থ্য পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিদিন এ কেন্দ্রে বাংলাদেশে প্রবেশকারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে সিভিল সার্জন ডাঃ আবদুল মোমেন জানান।


আজ শনিবার ক্যাম্পটি পরিদর্শন করেন জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আবদুল মোমেনসহ সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মকর্তারা। পরিদর্শন শেষে সিভিল সার্জন জানান, জাতীয় রোগতত্ত্ব ও রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং গবেষণা ইনস্টিটিউটের কার্যক্রমের আওতায় এ ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হচ্ছে। এ পথে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশকারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।


স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রমের সময়কাল প্রসঙ্গে সিভিল সার্জন বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।


তিনি আরও জানান, স্থলবন্দর দিয়ে গমনাগমনকারী কোন ব্যক্তির মাঝে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া গেলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পপ্লেক্সে পর্যবেক্ষণের জন্য রাখা হবে। এছাড়াও পরবর্তীতে যেকোন প্রয়োজনে প্রবেশকারীদের সকলের যোগাযোগের নম্বর ও ঠিকানা সংরক্ষণ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, করোনা ভাইরাস সনাক্তে ক্যাম্পে প্রতিদিন একজন করে হেলথ ইন্সপেক্টর ও কমিউনিটি হেলথ প্রোভাইডর অবস্থান করছেন। আজ শনিবার স্বাস্থ্য সহকারি তাজুল ইসলাম ও কম্পাউন্ডর মুন্সী সাইফুদ্দিন দায়িত্ব পালন করেছেন। আগামীকাল রবিবার স্বাস্থ্য সহকারি রফিকুল ইসলাম ও আব্বাস উদ্দিন, সোমবার সহকারি হেলথ ইন্সপেক্টর দেলোয়ার হোসেন ও কমিউনিটি হেলথ প্রোভাইডর মহিউদ্দিন, মঙ্গলবার সহকারি হেলথ ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর আলম ও জুনিয়র মেকানিক আবদুল মালেক এবং বুধবার স্বাস্থ্য সহকারি ফেরদৌস আরা ও আব্বাস উদ্দিন দায়িত্ব পালন করবেন।

ক্যাম্পেইনে দায়িত্বপালনকারী কমিউনিটি হেলথ প্রোভাইডর মো: মহসিন জানান, শুক্রবার আমরা ২০ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছি। আজ শনিবার বিকাল পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত কাউকে পাওয়া যায়নি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবদুল খালেক জানান, প্রতিবেশী দেশ ভারতের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস যেন আমাদের দেশে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় এ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।