আমাদের জীবনের প্রথম ক্ষতচিহ্ন তৈরি হয় ভুলের মাধ্যমে। আর ভুলগুলো আমরা দ্রুত সরাতে পারি না বলে বদ্ধঘরে কেবলি আহত হই। মানুষ সৃষ্টির শুরু থেকেই ভুলের মধ্য দিয়ে হাঁটতে শুরু করেছে। তবে সৃষ্টিশীলরা বরাবরই সে ভুলকে শুদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন এবং আজও তা করে যাচ্ছেন একেক সৃষ্টিশীল নিজ নিজ চেষ্টায়। তবে এখানে শিল্পস্রষ্টা কিন্তু একদমই আলাদা। তারা শিল্পকে ভালোবেসে নিজের একজীবন ক্ষয় করে দেন।

কবি ও গল্পকার সৈকত রায় এবারের একুশে বইমেলায় প্রকাশ করেছেন ‘অধরা প্রতিচ্ছবি’ শিরোনামের এই কাব্যগ্রন্থটি। তার কবিতাগুলো পড়লে যেনো এক আত্মজীবন খুঁজে পাওয়া যায়। ভাষার গভীরতা, শিল্প আর রোমান্টিকতাকে এক করে কবি প্রকাশ করেছেন তারই সৃষ্টি ‘অধরা প্রতিচ্ছবি’। হ্যাঁ, কখনো কখনো আমাদের অনেক কিছু ভুলে ভুলে ভুলের পরিণত হয়! আর শিল্প যদি ভুল হয়-তবে সেখানে শুদ্ধ হওয়ার অনেক পথও তৈরি হয়। অধরা প্রতিচ্ছবি’তে কবিতাগুলো হোক ভুল কিংবা শুদ্ধ, আমরা কবি সৈকত রায়কে আবিষ্কার করতে পেরেছি যে, তিনি এককথায় দারুণ লিখেছেন অধরা প্রতিচ্ছবি’র প্রত্যেকটি কবিতা। কখনো কখনো একজন শিল্পীর শতাধিক কাজও ভালো লাগে না। কিন্তু আবার একটি মাত্র কাজকেও পাঠক যখন ভালোভাবে লুপে নেন-তখন শিল্পী বা লেখক বাড়তি আনন্দটাই নিজঘরে উপভোগ করে থাকেন।

কবি ও গল্পকার সৈকত রায় একজন মেধাবী পুরুষ। তার ‘অধরা প্রতিচ্ছবি’ বইটি তার পাঠকরা অবশ্যই গ্রহণ করবেন বলে বিশ্বাস রাখি। আর বইটি নাড়াচাড়া করতে করতে যদি কোনো পাঠক বা লেখক কিংবা কোনো বিখ্যাত সম্পাদক তাদের আপনমনে নিজ শুদ্ধতায় একটি কবিতাও যদি পড়েন-তবে এটা নিশ্চিত লেখক অনেক বেশি খুশি হবেন। কারণ একজন লেখক চান সবার আগে তার লেখাটি কেউ একবার আপনমনে পাঠ করুক।


২০২০ একুশে বইমেলায় বইটি প্রকাশ হয়েছে ‘ভাটিয়াল প্রকাশন’ থেকে। প্রচ্ছদ করেছেন শিল্পী রাজদীপ পুরী। দাম রাখা হয়েছে ১৭৫ টাকা। বইটি একুশে বইমেলা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের লিটলম্যাগ চত্বরের ভাটিয়াল স্টল নাম্বার ২৭, এবং ফেনী একুশে বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে।