দ্বিতীয় শিফটের পারিশ্রমিক হ্রাস ও উনিশ মাসের বকেয়া ভাতার দাবিতে মানববন্ধন ও দ্বিতীয় শিফটের ক্লাস বর্জন করেছে ফেনীর ৩টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষকরা। আজ রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বাংলাদেশ পলিটেকনিক শিক্ষক সমিতির ফেনী জেলার উদ্যোগে ফেনী পলিটেকনিকের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ফেনী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, ফেনী কম্পিউটার ইনস্টিউট, টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষকরা অংশ নেয়।


ফেনী পলিটেকনিকের শিক্ষক হযরত আলী আন্দোলনের কারণ সম্পর্কে বলেন, অতিরিক্ত পাঠদানের জন্য মূল বেতনের ৫০% ভাতা প্রদান করার কথা রয়েছে। যা প্রদান করা হচ্ছে ২০০৯ সালের বেতন স্কেল অনুসারে। কিন্ত বর্তমানে আমরা ২০১৫ সালের বেতন স্কেল ভোগ করছি। এতে আমাদের ভাতার পরিমাণ হয়ে যাচ্ছে ২৫%।


তিনি আরও বলেন, কারিগরি অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদে দেশের ৪৯টা পলিটেকনিক কলেজের শিক্ষকদের দ্বারা পূরণ এবং মহাপরিচালকের পদ সিনিয়র অধ্যক্ষ দ্বারা পূরণের দাবীতে আন্দোলন চলছে। তিনি জানান, কারিগরি অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদ সিনিয়র অধ্যক্ষ দ্বারা পূরণের বিধান থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। এ পদে টেকনিকাল কর্মকর্তা না থাকায় বিভিন্ন সময়ে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।


তিনি আরও জানান, ১ ফেব্রুয়ারি হতে দ্বিতীয় শিফটের ক্লাস গ্রহণ হতে শিক্ষকরা বিরত রয়েছেন। দাবী আদায়ে ইতিবাচক কোন সাড়া না পেলে এ আন্দোলন চলবে।


শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। শনিবার ও রবিবার দুদিন ধরে শিক্ষকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারসহ পাঠদান কার্যক্রম পুনরায় চালুর দাবিতে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা।


এর আগে শনিবার আন্দোলন প্রসঙ্গে ফেনী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সোমবার শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে এ বিষয়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এ বৈঠকে ইতিবাচক সাড়া পেলে শিক্ষকরা দ্বিতীয় শিফটের ক্লাসে ফিরে যাবেন। অধ্যক্ষ বলেন, এটা শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবী। এ দাবী মেনে নেয়া ছাড়া শিক্ষকরা ক্লাসে ফিরে যাবে না।


ফেনী পলিটেকনিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি তাজ উদ্দিন পলাশ বলেন, মূল বেতনের ৫০% (জাতীয় পে স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী) প্রধান করে পর্যায়ক্রমে ১০০% উন্নীত করতে হবে সরকারকে। সরকার বারবার আশ্বাস দিয়েও দাবী পূরণ করছেনা।


তিনি বলেন, মন্ত্রী-সচিবরা আমাদের আন্দোলনকে যৌক্তিক মনে করলেও কোন অদৃশ্য কারণে পরিপত্র জারী করে আমাদের দাবী পক্ষে সাড়া দিচ্ছেনা। ফলে আমাদের পক্ষে ২য় শিফটের ক্লাস থেকে বিরত থাকা ছাড়া আমাদের কোন উপায় নেই।