ফেনীর বরেণ্য শিক্ষাবিদ, সংগঠক ও উন্নয়ন সমন্বয়ক, ফেনী সেন্ট্রাল হাই স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক প্রয়াত কামাল হাসান চৌধুরীর আত্মজীবনীমূলক বই ‘জীবনের ধারাপাত’ গ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শহরের রাজাঝির দিঘীর পাড়ে আয়োজিত একুশে গ্রন্থমেলায় ভাটিয়াল স্টলে বইটির মোড়ক উম্মোচন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সুজন চৌধুরী।

মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফেনী জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা নুরুল আবছার, ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত নাথ, দৈনিক সমকাল নিজস্ব প্রতিবেদক শাহজালাল রতন, দৈনিক জনকন্ঠ ও এনটিভি ফেনী প্রতিনিধি ওছমান হারুন মাহমুদ, লেখকের তৃতীয় ছেলে কাউসার উল হাসান চৌধুরী মুন্না প্রমুখ।

গ্রন্থটি প্রসঙ্গে তাৎক্ষণিক মন্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বলেন, লেখক পৃথিবীতে নেই কিন্তু রেখে গেছেন এক অনবদ্য সৃষ্টি। তিনি বলেন, এ জনপদের একজন আলোকিত মানুষ হিসেবে তাঁর সুনাম শুনেছি।
এসময়ে বইটির আকার, বাঁধাই ও মুদ্রণনশৈলীর প্রশংসা করেন তিনি।

গ্রন্থটি প্রসঙ্গে ভাটিয়াল প্রকাশনের পক্ষে আরিফ রিজভী বলেন, জীবনের ধারাপাত গ্রন্থটি লেখক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ কামাল হাসান চৌধুরীর জীবনকালের শেষ প্রান্তের সৃষ্টি। ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর গ্রন্থটির প্রথম সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছিল। এরপর ২২ দিনের মাথায় একই বছর ২৪ নভেম্বর লেখক মৃত্যুবরণ করেন।

তিনি বলেন, লেখকের ৭৮ বছর জীবনকালের অভিজ্ঞতা, অনুভূতি, অর্জন আত্মজীবনীতে স্থান পেয়েছে। ফেনী জনপদের প্রকৃতি, পরিধি এবং বিস্তৃতি নিয়েও লেখক বিশদ বলেছেন। শহর জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তনগুলো লেখক তুলে ধরেছেন। গ্রন্থটির সবচেয়ে বড় যোগ্যতা হলো, পাঠককে ধরে রাখার সক্ষমতা। সবমিলে গ্রন্থটি যেন এক জীবনের গল্প।

লেখকের সন্তান মুন্না বলেন, প্রথম প্রকাশের পরপর বাবা খুব বেশী অসুস্থ হয়ে পড়েন। দুর্বল শরীরেও কিছু ভ্রান্তি সংশোধন, কিছু সংযোগ এবং বিয়োগ করেন নিজের মত করে। তিনি নিজের কর্মজীবনে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়যে ছিলেন ফেনী সেন্ট্রাল হাইস্কুলের সাথে।

মেলায় বইটি পাওয়া যাচ্ছে ভাটিয়াল প্রকাশনীর স্টলে। এছাড়াও পাওয়া যাবে ভাটিয়াল প্রকাশনীতে।

উল্লেখ্য, কামাল হাসান চৌধুরী ছিলেন ফেনীর একজন প্রতিথযশা শিক্ষাবিদ ও সংগঠক। তিনি ছিলেন মিজান রোডের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ফেনী শিশু নিকেতন কালেক্টরেট স্কুলের সহসভাপতি, ফেনী ডায়াবেটিক সমিতির সহসভাপতি, জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি, বাংলাদেশ স্কাউটস কুমিল্লা অঞ্চলের কমিশনার। এছাড়া তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন।